ওমানে বাংলাদেশীর হাতে ওমানি নাগরিক খুন!
ওমানের মাসিরাহ দ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসী ইব্রাহীমের হাতে সাহালম হাদ্দুম (৩৮) নামে এক ওমানি খুন হয়েছে। নিহত ওমানি অত্র অঞ্চলের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে ঘটনাস্থল থেকে এই খুনের ব্যাপারে আমাদের জানিয়েছেন, নিহত ওমানির বাসায় একজন বাংলাদেশী মেয়ে গৃহকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ৩বছর যাবত কাজ করতেন, ওই মেয়ের সাথে ইব্রাহিম (২৬) নামে এক বাংলাদেশী প্রবাসীর অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। প্রায় রাতেই ওই ওমানির বাসায় যেয়ে কাজের মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতো ইব্রাহিম। যা ওমানি টের পেয়ে নিষেধ করে ইব্রাহিমকে এবং পরবর্তীতে দেখলে পুলিশে দেওয়া হবে এমন ভয় দেখানো হয়।
গতকাল শনিবার (১১-এপ্রিল) আনুমানিক রাত ২টার দিকে ওই ওমানির ঘরে প্রবেশ করে ইব্রাহিম, কাজের মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে ওমানি। এমতাবস্থায় দুইজন মিলে ছুরি দিয়ে ওমানি এবং তার স্ত্রীকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ওমানির মৃত্যু হয় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওমানির স্ত্রীকে মাসিরাহ হসপিটালে ভর্তি করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইব্রাহিমের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার কাইমপুর নামক এলাকায়। এবং মেয়েটির বাড়ী গাইবান্ধা। ইব্রাহিম গত ২বছর যাবত ওমানের মাসিরাহ অঞ্চলে ওমানিদের বাসায় রান্নাবান্নার (তাব্বাখি) কাজ করতো এবং মেয়েটি গত ৩বছর যাবত ওই ওমানির বাসায় গৃহকর্মী (খাদ্দামা) হিসেবে কাজ করতো।
ওমানির স্ত্রীর জবানবন্দী অনুযায়ী তাৎক্ষনিক দুইজনকেই গ্রেফতার করে রয়্যাল ওমান পুলিশ। এছাড়াও এই ছেলে যেই রুমে থাকতো, সেই রুমের সকল বাংলাদেশী প্রবাসীদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইব্রাহিম বাদে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন মাসিরাহ থেকে এক প্রবাসী।
তবে প্রাথমিকভাবে এমন তথ্য আসলেও এই হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের পর পাওয়া যাবে। তবে অনেকেই ধারণা করছেন, এই হত্যাকাণ্ডে ভিন্ন কোনো ইস্যু থাকতে পারে। যেহেতু তিনি অত্র অঞ্চলের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন, সুতরাং ব্যবসায়িক কোনো কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলেও অনেকেই ধারণা করছেন।
ঘটনার সত্বতার ব্যাপারে ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে রাষ্ট্রদূত গোলাম সরওয়ার জানান, একজন বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বাকি বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।
এশিয়াবিডি/কামরুল/কামরান

