নিয়মের তোয়াক্কা করছে না তারা…

করোনা ভাইরাসের কারনে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রত্যেকটা হাটবাজার, যানবাহনকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । অথচ মাঠ পর্যায়ে এর চিত্র ভিন্ন। উপজেলা কেন্দ্রিক বাজার গুলোতে দোকান পাট বন্ধ রয়েছে টিক ই মানুষ ও নেই তবে মফস্বলের বাজারগুলোর অবস্হা করুন। লোকে লোকারন্ন স্থানীয় হাটবাজার, জনসমাগমে ভরপুর এলাকার দোকানগুলো। এমনকি নিয়মিত চলছে সাপ্তাহিক হাট বাজার ও।
এচিত্র দেখা যায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায়। এতে করে করোনা ছড়ানোর আশংকা করছেন সচেতন মহল। গত ২৫ মার্চ মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঐ দিন হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঔষধ সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে পাশাপাশি জেলার মধ্যে অবস্হিত সাপ্তাহিক হাট বাজারও বন্ধ রাখতে হবে। পরবর্তীতে গত ৬ এপ্রিল অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে,ঔষধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার বাজার,দোকান পাট, কাচাঁবাজার, বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ রাখতে হবে।এ্যম্বুলেন্স ছাড়া সকল যানবাহন চলাচলও বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অথচ গত শনিবার ফুলতলা বাজারের সাপ্তাহিক বাজার বসে। বৃহস্পতিবার উপজেলা শহরের কামিনীগন্জ বাজারের সাপ্তাহিক হাট বাজারও বসে। এতে প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জুড়ী উপজেলার আরও কয়েকটি বাজারে এ রকম চিত্র দেখা যায়। বিকাল থেকে টিক আগের মত বাজার চলছে। রতনা বাজার, শাহপুর বাজার, নয়াগ্রাম বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে বিকাল থেকেই লোকজন বাজারে আসছে, রাত ৮-৯টা পর্যন্ত ভিড় লেগেই আছে, জনসমাগমের অভাব নেই।মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন গেলে বাজারের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায় না হলে চলতেই আছে।
ফুলতলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম, মামুন আহমদ বলেন, আমাদের এখানে টিক আগের মত বাজার চলছে,লোকজন বাড়ছে অন্যান্য দিনের তুলনায়, মানুষ বুঝতে পারছে না করোনার এই পরিণতি।মাঝে মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ আসে তখন লোকজন চলে যায়। প্রশাসনের নজর দেওয়ার দাবি জানান তারা।
জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, আমরা মানুষকে বুজানোর চেষ্ঠা করছি, ফুলতলা বাজার উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিমি দূরে হওয়ায় আমাদের আসার খবর পেলে লোকজন চলে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক জানান, মানুষকে সচেতন করতে সব সময় কাজ করছি,পাশাপাশি যারা অকারনে ঘর থেকে বাহির হয় তাদেরকে জরিমানাও করা হচ্ছে।
এশিয়াবিডি/বেলাল/সাইফ