শ্রীমঙ্গল ৫ বস্তা সরকারী চালসহ আটক ২
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নে সরকারি চাল চুরির অভিযোগে আশিক মিয়া (৫০) আটক করেছে পুলিশ। পরে এঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ইসলাম মিয়া (৪০) নামের অপর এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল গভীররাতে এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে আশিককে আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ভৈরববাজার এলাকা থেকে ইসলাম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃত দুজনেই কালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আটককৃত আশিক ওই ইউনিয়নের ভৈরববাজার সংলগ্ন হুদারপাহাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশিকের বাড়িতে ১০টাকা কেজি সরকারি চাল মজুদ করে রাখা ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার সময় আশিকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশিককে আটকের পর তাকে উদ্ধার এবং চালের বস্তা চুরি সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালায় একটি মহল। একাংশের গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জেনে গেলে তাদের এমন উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়।
এদিকে, তবে পুলিশের উপস্থিতি ও পুলিশের অভিযান হবে এমন তথ্য আগেভাগেই জানতে পেরে আশিকের সংশ্লিষ্টরা ২২বস্তা চাল সরিয়ে নেয়। আশিককে আটক করে থানায় নেয়ার পরপর চালগুলো সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ৫ বস্তা ১০ টাকার মূল্যের সরকারি চাল পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উপজেলার কালাপুরের এলাকাবাসী তুহিন চৌধুরী ও মো. জাকারিয়া (বক্তব্য রের্কড) বলেন, ঘটনাটি শুনে আমিও গিয়েছিলাম ভৈরববাজারে। আসলে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। তারপরও যা জানতে পারলাম তা হলো, সিএনজি অটোরিক্সা করে ১০ টাকা দামের সরকারি ত্রাণের চাল বাজারে নিয়ে যাবার সময় সিএনজি থেকে পড়ে যায়। তখন উৎসুক লোকজন সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে এগুলো কালাপুরের আশিক মিয়া এবং ইসলাম মিয়ার চাল। তারা আরও জানান,এই দুইজনেই ইউপি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টভাজন।’
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাল অবৈধভাবে মজুদ রাখার অপরাধে ইতোমধ্যে আশিককে আটক করা হয়েছে। আর ইসলাম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। যদি কোথায় চাল লুকিয়ে থাকে তাহলে উদ্ধারের জন্য কার্যক্রম চলছে।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ