লকডাউন নামের তামাশা বন্ধ করুন!
চলমান করোনাভাইরাসে বিশ্ব আজ মৃত্যুপুরী। দিন দিন ছোট হিয়ে আসছে পৃথিবীর জনসংখ্যার হিসেব।
অনেক মানুষ না খেয়ে মরতে হচ্ছে করোনার আগেই। আবার কিছু কিছু মানুষ লকডাউনের কারনে ঘর বন্দি হয়ে অসহায়। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সিস্টেমে বাজেট দিচ্ছে আঠারো কোটি মানুষের জন্য।
কিন্তু ফলাফল বরাবরের মতোই শূন্য! কেউ চাল চুরি করছে কেউ আবার তৈল চুরি করছে, টাকাও মেরে খাচ্ছে কেউ কেউ। এটা কি করোনার চেয়েও জঘন্য নয়?
লকডাউনের কারনে দিন মজুর সহ নিম্ন ও মধ্যআয়ের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আবার দেখা যায় কোনো কোনো শহরে, হাট বাজারে স্বাধীন ভাবে মানুষ চলাচল করছে। কেমন লকডাউন বার বার নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করেও কোনো উত্তর মিলাতে পারছি না?
ঢাকা শহরে মন্দির, ইফতারী বিক্রির রেস্তোরাঁ, ঈদের জন্য শপিং সেন্টার , গার্মেন্টস খোলা রেখে সারা দেশে মসজিদ বন্ধ রেখে করোনা কি তাড়ানো সম্ভব? কৃষকের ধান কাটতে গিয়ে শত শত নেতাকর্মী সেলফি নিয়ে ব্যস্ততম সময় পাড় করছে সেখানে লকডাউনর কোনো হদিস আছে কি জানতে মন চায়? দূরত্ব বজায় রাখার স্লোগান দিতে দিতে আজ শোরগোল করছে লকডাউন দিতে।
মুখে মুখে লকডাউন নামের তামাশা বন্ধ করুন।
লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে যখন মানুষ জনসমাগম করে তখন সংবাদের জন্য প্রশাসনের সিনিয়র কারো কাছে জানতে গেলে উড়িয়ে দিয়ে বলে স্বাভাবিক রয়েছে সব কিছু। এটা কিসের লকডাউন?
কোন কোন জেলা উপজেলা শহরে আবার দেখা যায় লকডাউন মেনে চলতে প্রশাসন দিন রাত্র কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সব দোষ প্রশাসনকে দিলে চলবে না। একজন সুনাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সকল মানুষের কিছু কর্তব্য ও দায়িত্ব রয়েছে। প্রশাসন আমাদের এতোটা সহযোগিতা করার পরও অনেক সময় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনা। বরং আইন ভঙ্গ করে দিব্বি চলাফেরা করি।
গত কাল একটি সংবাদ পড়ে দেখলাম, স্থানীয় এক বাজারে সবজি কেনা কাটা করতে শত শত মানুষ জমায়েত হয়েছে। সংবাদ কর্মী যখন সংবাদ তৈরী করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিলেন তিনি তার অফিস থেকে জেনে না জেনে সোজা জানিয়ে দিলেন বাজারে মানুষের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। অথচ তিনি জানার চেষ্টাও করেন নি। তাহলে সব দোষ মানুষের না…?
করোনা ভাইরাস মসজিদ, মন্দির হাট বাজার ইফতারির রেস্তোরাঁ, গার্মেন্টস শপিং সেন্টার কিছুই বুঝবে না। শুধু সচেতনতা থাকলেই এ যাত্রায় হয়তো বাঁচা যাবে। সেই সচেতনতার জন্য আদৌ সরকার, প্রশাসন কিংবা আমরা আমজনতা কতটুকু তৎপর?
কবির ভাষায় বলতে চাই- “রেখেছ বাঙ্গালী করে, মানুষ করো নি।”
সবশেষে বলতে চাই, ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ থাকতে দিন। নিশ্চয় করোনা যুদ্ধে জয়ী হবো আমরা।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক
এশিয়াবিডি২৪ ডটকম
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান