আনোয়ারার ফকির-হাটে লাল মরিচ বিক্রির ধুম

আনোয়ারায় ফকিরার চর নামে পরিচিত শঙ্খ নদীর তীরে এবার মরিচের বাম্পার হওয়ায় লাল মরিচে ভরপুর হয়ে উঠেছে চর সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ফকির হাট। তাই নির্দিষ্ট বাজার বার ছাড়াও লাল মরিচ বিক্রির ধুম পড়েছে ফকির-হাটে।
উপজেলার হাইলধর গ্রামের সবজির বাজার নামে পরিচিত ফকির হাটের দক্ষিণ পাশেই বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে সবজির প্রাণকেন্দ্র ফকিরার চর।

এবারে চর এলাকায় দেশি মরিচের বাম্পার হওয়ায় লাল মরিচে চেয়ে গেছে ফকির হাট। বাজার বসার শুরু থেকে লাল মরিচে ভরপুর হয়ে উঠছে বাজার। সপ্তাহের শুরু শনিবার আর মঙ্গলবারে বসে এই বাজারটি। তবে শুকনো মরিচ বেচা বিক্রির মৌসুম আসলে বার ছাড়াও চলে লাল মরিচ বিক্রির ধুম। বিগত সপ্তাহ দুই সপ্তাহ ধরে লাল মরিচ ভরপুর হয়ে উঠাই লাল মরিচের বাজারে পরিনত হয়েছে ফকির হাট।

নির্দিষ্ট বাজার ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে শুকনো মরিচ। তবে করোনা সংকটে পরিবহন নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে পায়কারী ব্যবসায়ীরারা। পায়কারী কম থাকলেও খুচরা ২০০টাকা থেকে ২৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি লাল মরিচ। পরিবহন সংকটের মাঝেও বেশ কিছু পায়কারী ব্যবসায়ী কৃষকদের থেকে মরিচ ক্রয় করে টলি,মিনি পিকআপ করে ফকির হাটের লাল মরিচ যাচ্ছে উপজেলার বাইরে।

মরিচ বিক্রি করতে আসা জাফর আহমদ বলেন, তুলনামূলক দাম ভালো থাকায় আমরা মরিচ বিক্রি করে পেলছি। সারা বছর মরিচের দাম উঠানামা হয় আর মৌসুমে মরিচের প্রতি শহর থেকে আসা পাইকারী ব্যাববসায়ীরা এই মরিচের প্রতি চাহিদা বেশি থাকে। মরিচের দাম ভাল থাকায় চর এলাকার কৃষকরা মরিচ বিক্রি করে বেশ লাভ হচ্ছে বলে জানান এখানকার কৃষকরা।

এশিয়াবিডি/কামরান/জাহিদ

আরও সংবাদ