ওসমানীনগরে চাঞ্চল্যকর শিপন হত্যা, ১০ দিনেও প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়নি
সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ইশাগ্রাই গ্রামের চাঞ্চল্যকর শিপন হত্যার ১০দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের মূল হোতা মামলার প্রধান আসামি জয়নুল হক ধন মেম্বার এখনো গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে ধন মেম্বার পলাতক থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সিলেট সহ দেশের অধিকাংশ জেলায় করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনের আওতায় থাকার কারণে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বার সহ মামলার অন্যান্য অসামিরা সিলেটের বাহিরে না যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও গত ১০ দিনে পুলিশ কেনো ধন মেম্বারকে খোঁজে পাচ্ছে না এটা নিয়ে বাদি পক্ষ সহ এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
নিহত শিপনের বড় ভাই হত্যা মামলার বাদি রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন কয়েকজন আসামিকে পুলিম গ্রেফতার করলেও আমার ভাইয়ের হত্যার গত ১০দিন হয়ে গেলেও ধন মেম্বার সহ অন্য আসামিদের কেনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলতে পারছিনা। ধন মেম্বার আমার ভাইকে হত্যা করার আগে একাধিকবার হুমকি ধামকি দিয়েছিল এমপি সহ অনেক বড় বড় লোক তার আত্মীয়। তাদের মাধ্যমে আমাদের উপর হামলা মামলা করাবে। আমি অসুস্থ, কাল শনিবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানবো কেনো তারা ধন মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করছে না।
এ দিকে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, শিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বারের কতিপয় কয়েকজন প্রভাবশালী আত্মীয় ওসমানীনগর থানার কতিপয় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে ধন মেম্বার ধরা পড়ছে না। পুলিশ অভিযানে যাবার আগেই আসামি পক্ষ খবর পেয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়টি প্রত্যাখান করে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, কার সাথে কার সম্পর্ক রয়েছে সেটা আমার জানার বিষয় নয়, আমাদের পুলিশের কারোর সাথে আসামি পক্ষের কোনো সখ্যতা অথবা যোগাযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বার সহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতারে সক্ষম হব আমরা।
উল্লেখ্য, গত ৬ই মে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একই গ্রামের মৃত দরছ উল্যার ছেলের ছুলফির আঘাতে প্রতিপক্ষ আলীক মিয়ার মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া(২৪) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের পর দিন নিহত শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বাদি হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে মোট ২৭জনের নামে ওসমানীনগর থানায় মামলা হত্যা দায়ের করেন।
এশিয়াবিডি/কামরান/তারেক