ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘আম্ফান’ কেন?

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আরও গতি ও শক্তির সঞ্চার করে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ‘আম্ফান’ নাম নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে জনমনে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল মহাসেন, সিডর, আইলা, নার্গিস, ফণি ও বুলবুল ইত্যাদি। এর ধারাবাহিকতায় এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘আম্ফান’।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশন (ডব্লুএমও) ও এসক্যাপ এর অধীনস্থ আটটি দেশ— শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ওমান, মায়ানমার, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে এই অঞ্চলের সাইক্লোনের নামকরণ করে। এই অঞ্চল বলতে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে যেসব সাইক্লোন দেখা যায় সেগুলোর নামকরণ করে তারা।
আবহাওয়াবিদ রাশেদুর রহমান বলেন, ‘আম্ফান’ ঝড়ের নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড।
শেষ খবর অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাতে অথবা বুধবার (২০ মে) বিকেল বা সন্ধ্যায় খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ
