জুড়ীতে জামা-কাপড় নয়, ‘করোনা’ কিনছে মানুষ!

দেশব্যাপী লকডাউন বিধিনিষেধ কমিয়ে দেওয়ায় প্রতিদিন দ্রুততম হারে বেড়েই যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৌলভীবাজার জুড়ীতে প্রতিটি মার্কেটে মানুষের ভীড় দেখে মনে হচ্ছে কাপড় না কিনে করোনা কিনছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সরেজমিনে মৌলভীবাজার জুড়ী বাজারের ভবানীগঞ্জ ও কামিনীগঞ্জ বাজারে গেলে দেখা যায় বেশিরভাগ কাপড়, জুতা ও কসমেটিকস এর দোকানে উপচেপড়া ভিড়। কোনো কোনো দোকানে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। ভিড় করে ঈদের কেনাকাটা করছেন পুরুষ-মহিলা-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ। তবে মহিলাদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি। তাদের বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। শারীরিক দূরত্বের তো নেই বললেই চলে। মহামারি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনি উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও তাতে যেন এদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

সীমিত আকারে মার্কেট ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ্য করলেও বর্তমানে এর কোনো প্রকার আলামত মিলছে না। অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও মানছেনা জনসাধারণ। কোনোভাবেই তাদেরকে ঘরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

কাপড় কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানালেন, আমি বুজতে পারতেছি করোনার ভয়াবহতা কি পরিমাণ। কিন্তু ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তো এগুলো বুজে না। তাদেরকে কাপড় কিনে দিতেই হবে তা না হলে হবে না সেজন্যই মার্কেটে আসা।

বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, কি করবো ভাই, পেটের জ্বালায় দোকান খুলেছি। মাস শেষ হলেই দোকান ভাড়া, দোকানের কর্মচারীর ভাড়া ও পরিবারের খরচ এগুলো দিতে হবে। দোকান খুলি বা না খুলি। ক্রেতাদের বার বার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছি আমরা। আবার কোনও ক্রেতাকে কিছু বললে তিনি আর দোকানে আসবেন না। যার কারণে আমারা কিছু বলতেও পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক এশিয়াবিডিকে বলেন, বাজারে প্রতিদিন আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। ক্রেতারা যাতে বাজারে কম আসে এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু সাধারণ জনগণ কোনোভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে না। এখনই জুড়ীর মানুষকে সচেতন হতে হবে তা না হলে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

এশিয়াবিডি/সাইফ/মারুফ

আরও সংবাদ