কবর থেকে তুলে এনে কিশোরীর লাশকে যৌন নির্যাতন!


ইতিহাসে কলঙ্কিত আসাম। সভ্য সমাজকে লজ্জানত করা এক মর্মান্তিক ও গাঁয়ে কাটা দেওয়া ঘটনা সংঘটিত হল। কবর থেকে তুলে এনে ১৪ বছরের এক নাবালিকা কিশোরীর মৃতদেহে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করল এক নরপশু। এমন জগন্য ও পাশবিক ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৮ মে আসামের ধেমাজি জেলার শিলাপাথারের ডিমৌর গ্রামে লোমহর্ষক এঘটনা সংঘটিত হয়।

এতে জড়িত থাকার অভিযোগে অকন শইকিয়া নামের ৫১ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার বিবরণ মতে, মৃত নাবালিকাকে কবর থেকে তুলে এনে অপকর্মের দৃশ্য গ্রামবাসি লোকরা পুলিশকে অবগত করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশ।

ধেমাজি জেলার পুলিশ সুপার ধনঞ্জয় ঘনায়াত জানান, সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। পুলিশকে না জানিয়ে সিমেন নদীর তীরে মেয়েটিকে কবরস্থ করা হয়। এদিন গ্রামবাসিরা অভিযুক্তকে কবরের মাটি খুড়তে দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশ সুপারের কথায়, মৃত নাবালিকার দেহে অপকর্মের আগেই অভিযুক্ত অকন শইকিয়াকে ঘিরে ফেলেন গ্রামের মানুষ। এদিকে, নাবালিকার ভাই স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন বলেও খবর।

জানা গেছে, কয়েকদিন যাবৎ ওই নাবালিকাকে অভিযুক্ত অকন শইকিয়া বিভিন্নভাবে হয়রানি করছিল। তাই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত লোকটি মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও দাবি একাংশের। যদিও একথা উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, অকন শইকিয়া একজন পুরনো অপরাধী। দুবার বিবাহিত। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়া একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই লোকটি। সে জেলবন্দি ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির দরুণ তাকে পেরোলে মুক্তি দেওয়া হয়। অপরদিকে, পৈশাচিক এঘটনায় ফের গ্রেফতার করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যকে কলঙ্কিত করা এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে সারা আসাম মাদ্রাসা ছাত্র সংস্থা আমসা সহ বিভিন্ন মহল।

এশিয়াবিডি/কামরান/মোজাম্মিল

আরও সংবাদ