দীর্ঘদিনের প্রেমের স্বীকৃতি না দেওয়ায় যুবতীর আত্মহত্যা!
এলাকাবাসীর অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফে দীর্ঘ দিনের প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক। বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক করার পর প্রেমিক বিবাহে অসম্মতি জানালে ক্ষোভে প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বিজিবির ক্যাম্পের সংলগ্ন নতুন পল্লান পাড়া গ্রামে।
জানা যায়, নতুন পল্লান পাড়া গ্রামের রশিদ আহমদের মেয়ে সাবেকুন নাহার (১৫) গরীবের মেয়ে বিদায় ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া লেখাপড়া করার সাধ্য হয়েছিল। টেকনাফের সাবরাং কাটাবনিয়া গ্রামের আবদুল হক সওদাগরের ছেলে আরজুর (২১) সাথে ভুল নম্বরের পরিচয় ঘটে। ভাললাগা, ভালবাসা, এক পর্যায়ে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সাথে সব ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আরজু। ছেলেকে বার বার বিয়ের কথা বললেও রাজি হচ্ছিলেন না তিনি।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানান যায়, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় লোক লজ্জার ভয়ে ছেলেটি বিয়ের জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। বিগত ৩তিন আগে মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে ছেলের সাথে দেখা করে বিয়ের কথা বললে ছেলেটি বিয়েতে অসম্মতি জানালেন। মূলত আরজু বিয়েতে রাজি হননি তাই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের ছোট বোন জানান, ছেলেটির সাথে আমার বোনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। গত কয়েক আগে ছেলেটি আমাদের বাড়িতে আসলে আমরা বিয়ের তাগিদ দেই, আমার বোনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এবং স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে বিয়ে কথা বললে আরজু বিয়েতে রাজি হয় না। আমার বোনের আত্মহত্যার রাতে আমরা সেই দিন বাড়িতে কেউ ছিলাম না , সেই দিন রাতে আরজু আমার বোনের জন্য একটা হাতের বেস্টলাইট উপহার দিয়ে থাকে, যেই দিন রাতে আমার বোন আত্মহত্যা করে সেই দিন রাতে আরজু আমার বোনের রুমে ছিল । গত ২৭মে সকাল ১০ টায় এসে দেখি, আমার বোনের লাশ দেখার পর আমরা বেহুঁশ হয়ে যায় । আমার ধারনা আরজু ছেলেটি আমার বোনের লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় যুবক আব্দুর রহমান জানান, আত্মহত্যা করা মেয়েটির কোন ময়না তদন্ত করা হয়নি বলে জানান।
প্রেমিক ঘাতক আরজু জানান, সাবেকুন নাহারের সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল কিন্তু পরিশেষে আমার পরিবার জানলে আমাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন এতে আমি মুঠোফোনে বিষয়টা সাবেকুন নাহার কে অবগত করলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে মোবাইল কেটে দেন, পরে ৩ ঘন্টা পর তার ছোটবোন আমাকে তার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার কর্মরত এস আই অরুন কুমার চাকমা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ দেখতে পাই। পরে লাশ দেখার পর সুরতাহাল করি। তবে সঠিক তদন্ত পরে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এশিয়াবিডি/কামরান/সানী