পাথর ক্রয় বিক্রয়ের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমতি পেলেন ইজারাদাররা

কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ব্যবসায়ীদের পাথর ক্রয় বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর মুল্যত নদী পথে থাকায় প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীরা নদীর দু”পারে পাথর মজুদ করতে থাকে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী সেই রক্ষিত পাথর সরবরাহ করে থাকেন সেখানকার বৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা।

মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি তমিজ উদ্দিন মেম্বার বলেন, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীরি অবস্থান হচ্ছে লোভা নদীর সাথে এজন্য আমরা প্রতিবারেই নদীর দু”পারে পাথর মজুদ করি এবং বর্ষা মৌসূমে পাথর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করে থাকি। এবছর আমরা ব্যবসায়ীরা আমাদের রক্ষিত পাথর নিয়ম অনুযায়ী সরবরাহ করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষথেকে নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়।
এতে আমাদের বৈধ ইজারাদার মোস্তাক আহমদ পলাশ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের স্বরনাপ্ন হলে মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আমাদের রক্ষিত পাথর ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সাময়িক অনুমতি দিয়েছেন। এরপর আমাদের ইজারাদার উপজেলার প্রশাসনের সব জায়গায় সেই অনুমতির কপি পাঠিয়েছেন। আশাকরি, প্রশাসন হাইকোর্টের সেই আদেশের প্রেক্ষিতে আমাদের পাথর আগামী ১৫/০৬/২০২০ইং পর্যন্ত সরবারহ করতে দিবেন।

লোভাছড়া কোয়ারীর বৈধ ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, আমি ইজারাদার হিসেবে দেখেছি সব নিয়ম মেনেই ব্যবসায়ীরা কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করেছেন, এখন ব্যবসায়ীরা সেই পাথর ক্রয় বিক্রয় করবেন কিন্তু প্রশাসনের নিষেধজ্ঞার পর আমি মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করলে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আমাকে ব্যবসায়ীদের রক্ষিত পাথর ক্রয় বিক্রয়ের অনুমতি দিলে সাথে সাথে আমি সেই অনুমতির কপি কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি দেশের ক্রান্তি লগ্নে ব্যবসায়ীরা যদি রক্ষিত পাথর ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন তাহলে অনেক বিপদগ্রস্থ মানুষ সহায়তা পাবেন। তাই আমি আহবান করবো প্রশাসনকে আমার কোয়ারী ব্যবসায়ীদের পক্ষে যে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন যে আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশকে মেনে নিয়ে রক্ষিত পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

এশিয়াবিডি/কেকে/আলিম

আরও সংবাদ