সংসদে শোক প্রস্তাব
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে।
বুধবার (১০ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব আনেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, আমরা ইতোমধ্যে হারিয়েছি আটজন সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন সাবেক গণপরিষদ সদস্যকে। তারা হলেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমান রেজা, সাবেক সংসদ সদস্য (গাইবান্ধা-৫) ও ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষরকারী অন্যতম সংসদ সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খন্দকার আসাদুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য (টাঙ্গাইল-২) এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অর্থ সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ বেগম, সাবেক সংসদ সদস্য (১৯৭৩) ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ-১৯৭১) এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় মহিলা সংস্থা। আলহাজ মকবুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য (সপ্তম জাতীয় সংসদ, তৎকালীন ঢাকা-৯), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী। জহিরুল ইসলাম, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। কামরুন নাহার পুতুল, সাবেক সংসদ সদস্য (সপ্তম জাতীয় সংসদ, সংরক্ষিত মহিলা আসন) ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নারীবিষয়ক সম্পাদক। আনোয়ারুল কবির তালুকদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (অষ্টম জাতীয় সংসদ, জামালপুর-৪)। এম এ মতিন, সাবেক সংসদ সদস্য (দ্বিতীয় ও অষ্টম জাতীয় সংসদ, চাঁদপুর-৫)। সৈয়দ রাহমাতুর রব ইরতিজা আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য (তৃতীয় জাতীয় সংসদ, বরগুনা-২)।
এসব ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত সম্বলিত শোক প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শোক প্রস্তাবের অনুলিপি এমপিদের দেওয়া করা হয়।
এছাড়া, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সহধর্মিণী আনোয়ারা রাব্বী, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সহধর্মিণী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের পুত্রবধূ এবং সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এ কে ফাইজুল হকের স্ত্রী মোসাম্মৎ মরিয়ম বেগম, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় ভাই রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এ বি এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের বাবা সুশান্ত সরকার, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সাদাত হুসাইন, জাতীয় অধ্যাপক ও খ্যাতিমান প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী, স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. মজিবর রহমান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আলেম কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী, সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক গোলাম রাব্বানী হেলাল, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী আজাদ রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোনেম এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম নারী ক্যামেরাম্যান রোজিনা আক্তারের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন ও পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মারা গেছেন তাদের মৃত্যুতে সংসদে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে নিহতদের স্মরণেও জাতীয় সংসদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/এসএইচ