কে এই হতভাগ্য যুবতী?

কে এই হতভাগ্য যুবতী (২৫)? বোরকা পড়া অবস্থাতেই গাছে ঝুলছিল লাশ। কী তার পরিচয় বা কোথায় তার ঠিকানা! আশেপাশের কেউই চিনছে না তাকে। কেউ বলছে হয়তো মোবাইল ফোনের পরিচয়ে কারো সাথে ঘর বাঁধার জন্য বের হয়েছিল অজানার উদ্দেশ্যে, আবার কেউ বলছে হয়তো কেউ এনছিল ফুর্তির জন্য! রাজনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, ওই যুবতীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্টেই বুঝা যাবে কিভাবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল এই যুবতীর। মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক ও রাজনগর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের চান্দভাগ (দক্ষিনটিলা) গ্রামের এক নারী টিলার পাশের পুকুরে বাসন মাজার জন্য গেলে দূর থেকে এক নারী দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পান। বিষয়টি তিনি বাড়ির পুরুষদের জানালে তারা এসে দেখেন এক নারীর লাশ গাছের ডালে ঝুলছে। বিষয়টি সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনগর থানার পুলিশদের খবর দেয়া হয়।

খবর পেয়ে রাজনগর থানার উপপরির্দশক (এসআই) আবুর কালাম ঘটনাস্থলে যান। আলামত সংগ্রহের জন্য মৌলভীবাজার থেকে আসে পিবিআইর একটি টিমও। উপস্থিত পুলিশ ও পিবিআই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। করা হয় সুরতহাল রিপোর্টও। এতে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের যৌনাঙ্গে রক্ত ও বীর্য পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যুর আগে ওই যুবতীর সাথে কেউ শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজনগর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক ও রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিম ঘটনাস্থলে যান। এদিকে লাশের পাশে একটি শপিং ব্যাগে কয়েকটি ড্রেস পাওয়া ও তার ব্যবহৃত সেন্ডেল পাওয়া গেছে। ব্যাগের ঠিকানায় চাঁদপুরের একটি দোকানের নাম ছিল। পুলিশ ওই ব্যাগে থানা নাম্বারে যোগাযোগ করে কথা বলে। তবে তারা ওই নারীকে চেনে না বলে জানিয়েছে।

রাজনগর থানার উপপরির্দশক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্য না আত্মহত্যা তা এখন বলা যাচ্ছে না। লাশের হায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এশিয়াবিডি/সারাবাংলা/সোহেল   

আরও সংবাদ