“আমরা কোনো ভারতীয় সেনাকে আটক করিনি বা মুক্তি দেইনি”
ভারতের কোনো সেনাকে আটক বা মুক্তির খবর নাকচ করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘আমরা ভারতের কোনো সেনাকে আটক করিনি।”
এর আগে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ভারতের ১০ সেনার মুক্তির খবর দিয়েছিল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে এই খবর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আটকের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, সত্য-মিথ্যা পরিষ্কার। দায় ভারতের।
চীনা মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
চীনের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত তাদের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চীন ১০ ভারতীয় সেনাকে আটক ও পরে মুক্তি দিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে আজই খবর বেরিয়েছে।
সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। আহত সেনাদের মধ্যে ১৮ জন লেহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকিদের চিকিৎসা চলছে অন্যান্য হাসপাতালে।
সংঘর্ষে চীনের হতাহতের সংখ্যাও ব্যাপক বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করলেও বেইজিং এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
১৯৯৬ সালে হওয়া চুক্তিতে ভারত ও চীন লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার না করতে সম্মত হয়েছিল। সাড়ে চার দশক ধরে সীমান্তে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে মারামারি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনার পাশাপাশি ভারত ও চীন লাদাখ সীমান্ত ঘিরে শক্তি বাড়াচ্ছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গতকাল ভারতের বিমানবাহিনী ১২টি সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যা কিনতে খরচ হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
পার্সটুডে
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/এসএইচ