বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ‘লঞ্চটি তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয় নাই’
‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ সোজা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ তেছড়াভাবে (বাঁকা) রওনা দিছে। তেছড়াভাবে রওনা দেয়াতে ওই লঞ্চটা বাড়ি দিছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। বাড়ি দেয়ার সাথে সাথে লঞ্চটা কাইত হয়ে ডুবে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয় নাই। আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে আমি বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেন নাই। তাদের খোঁজ করছি।’
সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ডুবে যাওয়া এই লঞ্চ থেকে বেঁচে ফেরা মো. মাসুদ এভাবেই লঞ্চডুবি ও নিজের দুই মামা নিখোঁজের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তার নিখোঁজ থাকা দুই মামা হলেন আফজাল শেখ ও বাচ্চু শেখ।
দুই মামার খোঁজে সদরঘাটের জেটিতে অবস্থান করা মো. মাসুদ জানান, রাজধানীর ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে কাপড়ের দোকান করেন। গতকাল রোববার ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যান। তাদের নিয়ে আজ সকালে লঞ্চের একটি কেবিনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু লঞ্চ পাড়ে ভেড়ার আগে মুহূর্তে লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
★★বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার
★★বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: বাড়ছে লাশের মিছিল, অব্যাহত উদ্ধার কাজ
★★বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: লাশের সংখ্যা বেড়ে ২৫
★★বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ১৫ টি লাশ উদ্ধার, অভিযান চলছে
সূত্র : জাগো নিউজএ
শিয়াবিডি/ডেস্কে/এসএইচ