জুড়ীতে ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবনযাপন

করোনাভাইরাস দূর্যোগের কারণে সারাদেশের মতো মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলায় সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্টান। আয়ের কোনো উৎস না থাকায় খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা।

এই মূহুর্তে বড় কোন ধরণের অনুষ্টান হচ্ছে না তাই প্রয়োজন পড়ছেনা ডেকোরেটরের। বর্তমানে সীমিত সময়ের জন্য দোকান খুললেও ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা সম্পূর্ন অচল হয়ে আছে। যার ফলে অভাব অনটনে দিন কাটছে এ পেশায় নিয়োজিত ছোট বড় প্রায় ২৫ টি ডেকোরেটর মালিক ও শ্রমিকদের।

উপজেলার পোষ্ট অফিস রোডের লাকি ডেকোরেটরের মালিক ফরিদ অাহমদ বলেন, সাড়ে তিন মাসধরে ডেকোরেটরের ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল অচল পড়ে আছে। কোনো ভাড়া না থাকায় প্রতিমাসে কর্মচারী বেতন, দোকান ভাড়া সহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরছ হচ্ছে। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে ঋণ করে দিন পার করছি।

কথা হয় ভবানীগঞ্জ বাজারের আব্দুল্লাহ ডেকোরেটরের মালিক অাব্দুল মুকিত সাথে তিনি বলেন, করোনা মহামরীর প্রভাবে অন্যদের মতো অামার ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে। তাই কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় তাঁরা অন্য পেশায় চলে গেছে। এখন অামার ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল বেকার পড়ে অাছে।

বাসস্ট্যান্ড রোডের ঝলক সাজঘরের মালিক সুমন দে বলেন, প্রতিমাসে দোকান ভাড়া বিদ্যুত বিল কর্মচারী বেতন সহ অন্যান্য খরছ মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরছ দিতে হচ্ছে। করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রন না আসা পর্যন্ত এভাবেই অার্থিক ক্ষতির বোঝা বহন করে চলতে হবে।

ডেকোরেটর সমিতির নেতারা বলেন, এই দুঃসময়ে জুড়ী উপজেলার সব ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এশিয়াবিডি/এসএইচ/এমএইচ

আরও সংবাদ