বন্যায় কয়েক কোটি টাকার মাছ হারিয়ে পুজিঁ শূন্য, দোয়ারাবাজারের মৎস্য চাষীরা


সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলাধীন সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে, সফল মৎস্য চাষী আব্দুস শহীদ। ১৭টি দীঘিও পুকুর নিয়ে তার গ্রামে সর্ববৃহৎ মৎস্য খামার। অনাকাঙ্ক্ষিত আকস্মিক বন্যায়, তলিয়ে যায় ১৭ টি খামারের ১৬টি।
বন্যার পানি লুট করে নিয়ে যায়, দুই কোটি টাকার মাছ। পোনা ছাড়াও দু, বছরের বড় মাছ মজুদ ছিল আব্দুস শহীদের খামারে,রেহাই মিলেনি সে মাছেরও বন্যার কবল থেকে।

একই গ্রামের রহিম মিয়া মৎস্য চাষের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তিনি মৎস্য চাষে অধিক ভূমিকা রাখায়, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে, মৎস্য চাষীর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু এবছরে পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বর্ষণে ৩০বিঘা জমি মৎস্য খামার, বন্যার পানির সাথে একাকার হয়ে কপালে হাত পড়ে যায় রহিমের। অর্ধ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে বলে তিনি জানান।

একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী টেংরাটিলা গ্রামের মাহমুদ ভূঁইয়া প্রায় ৪০ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ করে আসছে, কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ের মত হঠাৎ বন্যার পানি প্রবেশ করে মৎস্য খামারে। বন্যার পানি থেকে কিছুতেই রক্ষা করা গেল না,মৎস্য খামারের আবদ্ধ মাছগুলো। এতে করে ২০লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানির সাথে মিশে গেছে।

রহিম বলেন, আমি আজ ভিখারির মত ব্যাংক থেকে লোন তুলে মৎস্য খামার করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ লোকসানের পরিমাণটা খুব বেশি হয়ে গেছে।

দোয়ারাবাজারের মৎস্য কর্মকর্তা তুষারকান্তি বর্মণ বলেন এ বছরের মৎস্য চাষীরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার পরিমাণ এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তারা সরকারি প্রণোদনা নিতে চাইলে, তাদের সকল প্রকার প্রণোদনা ও সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে বলে তিনি বলেন।

এশিয়াবিডি/কামরান/ইসমাইল
আরও সংবাদ