টেকনাফ পৌর শহরে ভয়াবহ যানজট; উদাসীন ট্রাফিক বিভাগ!

যানযটে গাড়ির লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ছবি:: এশিয়াবিডি।

কক্সবাজার জেলার টেকনাফের সীমান্ত উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক পৌরসভার সড়কের টেকনাফ স্টেশনের ভয়াবহ যানজট নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। সারাদিনের যানজটের কারনে দীর্ঘ ১/৩ ঘন্টা যান চলাচল ও কর্মঘন্টা ব্যাঘাত ঘঠছে প্রতিনিয়ত।

ফলে রোগীবাহী এম্বুলেস পর্যটক সহ হাজার হাজার সাধারন যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। টেকনাফের উপজেলার ব্যস্ততম স্টেশন পৌর শহরের চৌরাস্তার মোড় গোল চত্বর থেকে সৃষ্ট প্রতিদিনের যানজট কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ প্রায় ০১ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন যানবাহনের সারি হয়ে আটকে পড়ে।

এছাড়াও টেকনাফ পৌরসভার-অলিয়াবাদের শাপলা চত্বর সড়ক ও পুরাতন জীপ স্টেশন সাবরাং- শাহপরীর দ্বীপ সড়ক ও টেকনাফ পৌরসভার হাই স্কুল রোড থেক মেরিন ড্রাইভ সড়কে যানজটের একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে যানজট সৃষ্টি হলেও ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা।

নামে মাত্র একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও নেই কোন বিশেষ কার্যক্রম। জনসাধারণরা বলছেন শহরের ট্রাফিক বিভাগ মূলত ঝিমিয়ে গেছে।

গত বছরের বিশেষ করে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা আসার পর থেকে দেশি বিদেশি এনজিও, বিভিন্ন দপ্তরের ভিআইপিরা ও সরকারি উচ্চ মহলের অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সরজমিনে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে দেখা যায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ব্যাস্ততম স্টেশন টেকনাফ পৌর শহরের থেকে প্রতিদিনের ন্যায় সৃষ্টি হওয়া যানজটের কারনে টেকনাফ থেকে হ্নীলা, দক্ষিনে টেকনাফ থেকে শাহাপরীর দ্বীপ, পশ্চিমে টেকনাফ থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে প্রায় ০১কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, মিনি বাস, মালবাহী ট্রাক, দূরপাল্লার কাবার ভ্যান, মিনি ট্রাক,মিনি পিকআপ প্রাভেইট ক্যার নোহা মাইক্র সিএনজি অটোরিক্সা টমটম সহ অসংখ্য গাড়ির সারি ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ভয়াবহ এই যানযটের কবলে পড়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ – সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার থেকে ফেরত আসা হাজার হাজার পর্যটক ও যাত্রীদের চরম ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিদিন। প্রতিদিনের কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে পৌরসভার এই দীর্ঘ যানজটের ব্যাপাওে ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখঙলা বাহিনীর ভূমিকা ও রাস্তার দু’পাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ভয়াবহ যানজট চলাকালিন সময় পৌর শহরে স্টেশনে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া উপজেলার এক সিএনজি মালিক ও চালক মিনি পিকআপ দায়িত্ব প্রাপ্ত এক শ্রমিক ড্রাইভার বলেন, ট্রাফিক না আসার কারনে যেমন তেমন ভাবে চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, এভাবে যানজটে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হলে তাদের গুরুত্বপূণ্য সময় নষ্ট হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক জায়গায় ২/১ঘন্টা যানযটে আটকে থাকতে হলে ঢাকাগামী গাড়ির বুকিং দেওয়া টিকেট মিস হতে পারে।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, টেকনাফ প্রতিদিনের যানজট নিরসনে দক্ষ ট্রাফিক ও পুরো শহরের আশেপাশে অবৈধভাবে যানবাহনের পার্কিং মাহিন্দ্রা, সিএনজি, ইজিবাইক সহ প্রাইভেট গাড়ি  গুলো সড়াতে হবে।

এ ব্যাপারে টেকনাফে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায় নি।

এশিয়াবিডি/ সানী/ এম,কে

আরও সংবাদ