কানাইঘাট সাবরেজিষ্টার অফিসে দলিল তৈরিতে অনিয়মের তদন্ত
কানাইঘাট সদর ইউপির বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলামের পুত্র ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কানাইঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম গত ২রা মার্চ ২০২০ইং কানাইঘাট সাবরেজিষ্টার অফিসে দলিল তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ এনে মহা পরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট জেলা সাবরেজিষ্টার মুন্সী মখলিছুর রহমান কানাইঘাট উপজেলা সাবরেজিষ্টার অফিসে উপস্থিত হয়ে উক্ত অভিযোগের তদন্ত করেছেন।
এদিকে অভিযোগকারী মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভিন্ন ভিন্ন পিতা-মাতার সন্তানদের ক্ষেত্রে দলিল সম্পাদিত হয়না। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে উল্লেখিত দলিল দুটি সম্পাদনকারী ও তাদের সহযোগীতা কারীদের বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে ও কোন ধরনের নোটিশ না দিয়ে আজ তদন্ত করা হয়েছে। এতে আমি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি।
এবিষয়ে আলাপকালে সিলেট জেলা সাবরেজিষ্টার মুন্সী মখলিছুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উক্ত অভিযোগের তদন্ত করেছি। এতে তদন্তকালে অভিযোগের সমুহ বক্তব্য মৌখিক আকারে শুনেছি এবং লিখিত আকারে গ্রহন করেছি। এতে তদন্তে যা পাওয়া গেছে তার একটি প্রতিবেদন নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে প্রেরণ করবো বলে জানান তিনি।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর ২০১৯ সালে কানাইঘাট সাবরেজিষ্টার অফিসে একটি দলিল সম্পাদিত হয়। যার দলিল নং ৫১৫৬/১৯, উক্ত দলিলের ৩নং দাতা হবিবুন নেছা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ভাল্লুকমার গ্রামে তার বাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন বয়ঃবৃদ্ধ মহিলার স্বামীর রেখে যাওয়া তার শেষ সম্বল জমিটুকু সুকৌশলে কানাইঘাট উপজেলা সাব-রেজিষ্টার তার অফিসের দলিল লেখক আমির উদ্দিন, পিতা-আজিজুর রহমান, সাং-চরিপাড়া সনদ নং-৩৪ এবং ক্রেতা ও অন্য সকল বিক্রেতাগন মিলে কোন একটি স্বার্থান্বেষী মহলের নিকট প্রভাবিত হয়ে লেখিত নাম্বারের দলিলটি সম্পাদন করেন।
এছাড়া ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ ৪র্থ গ্রামের আরেকটি দলিল উক্ত সাব-রেজিষ্টার বিগত পহেলা অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে দলিল লেখক দেলোয়ার হোসাইন সনদ নং-৫৬, উনাদের যোগসূত্রে হেবা প্রকৃতির আরো একটি দলিল সম্পাদন করেন। যাহার নং ৪৮৩৭/১৯। এতে দলিল দাতার মাতার নাম দলিলে উল্লেখ আছে মারিয়া বেগম। কিন্তু তার জাতীয় পরিচয় পত্রে মাতার নাম মৃত আয়েশা বিবি। এতে হেবা দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে একই পিতা-মাতার সন্তানদের ক্ষেত্রে হেবা দলিল সম্পাদন করা হয়েছিলো বলে উক্ত অভিযোগকারী মো: জাহিদুল ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
এশিয়াবিডি/কেকে/আলিম