নিজেকে ভাবুন


নিজের উপর জরিপ চালাচ্ছিলাম……
মূলত অন্যের চোখে নিজের স্বভাব গুলো যাচাই করার চেষ্টা করছিলাম।
নিজের চোখে নিজেকে বুঝা অনেক কঠিন। নিজেকে যাচাই করার দায়িত্ব নিজের উপর চাপিয়ে দিলে কখনো মনে হবে না ভুল করছেন।

কোন কিছু চিন্তা বা যাচাই করতে হলে তুলনা করতে হয়।কোন কিছু ওজন দিতে যেমন একটা নিদির্ষ্ট পরিমাপের সাথে সেটাকে কম্পেয়ার বা তুলনা করা লাগে ঠিক আমাদের নিজেদের বুঝতে হলেও কোন কিছুর সাথে তুলনা করতে হবে।

পৃথিবীর কিছু বাস্তব সত্য আছে যেগুলো আমাদের সমানে ঘঠে প্রতিনিয়ত,কিন্তু আমরা অনুভব করি না বা ভাবি না,যে কেন এমনটা হয়। প্রশ্ন করি আপনাকে আপনি কেন কথা বলেন? তখন আপনি উত্তর দিবেন কথা বলি মনের ভাব প্রাকাশ করতে।আচ্ছা লিখে কি মনের ভাব প্রকাশ করা যায়না,আপনি ত লিখতে জানেন।কেন বেশির ভাগ সময় কথা বলেন,তাহলে লিখতে শিখলেন কেন।উত্তর ঠিকটাক দিতে পারবেন না আশা করি, দিলেও আমি উত্তর সাপেক্ষে নতুন প্রশ্ন করতে পারবো।
তাই আমার মনে হয় প্রাকৃতিক ভাবে অনেক কিছুই হয় যা আমরা ভাবি না কেন হয়!!

এখন আর কিছু বাস্তব সত্য পেশ করবো,আপনার সব ঠিকটাক,নিজেকে অন্যের মাধ্যমে যাচাইয়ের কাজ শুরু করলেন।কাউকে জিগ্যাস করুন আপনি মানুষ হিসাবে কেমন,সে নিঃসন্দেহে আপনাকে ভালো বলবে।আমি দেখেছি কেউ সামনা সামনি কাউকে খারাপ বলে না,বরং তার ভালো দিক গুলোই বলতে চেষ্টা করে,তাকে যখন জোর করবেন যে বলো আমার একটা না একটা খারাপ দিকের কথা, তখন সে মনে মনে যদি বলতে ও চাই আপনার করা এই কাজটা খারাপ,তাহলে সে আবার সেটাকে আপনার কোন একটা ভালো কাজের সাথে তুলনা করে বলবে না এই খারাপ কাজটা ভালো কাজের চেয়ে ছোট, তাই আপনাকে ভালো মানুষ ঐ বলবে!ব্যতিক্রম হতে পারে;

আপনার শক্রু কে জানেন, যে আপনার সমালোচনা করে, আপনার ভুল গুলো নবয়ে অন্যের সাখে কথা বলে,এবং সে এটা ও বলে সমালোচনা করা ঠিক না।
নিয়মটা বড়ই অব্দুধ।আপনি তাকে আপনার সামনে জিগ্যেস করে দেখুন, খারাপ দিকটা কি আপনার বলতে হিমসিম খাবে।কিন্তু যখন সে আপনার সমালোচনা করে তখন আপনার খারাপ দিক গুলো ঠিকই গড়গড় করে বলে।

আচ্ছা এবার আমি আপনার সামনে আপনার দশটা খারপ গুন বলি!আপনার মধ্যে অনেক খারাপ দিক আছে, এটা আপনার সামনে বলি।তখন কি আপনি আমাকে আপনার পরম বন্ধু ভাববেন নাকি সবচেয়ে বড় শক্রু ভাববেন।

এমন কিছু কাজ আমরা প্রতিনিয়তই করি যা কারো না কারো কাছে খারাপ লাগে, কারো না কারো মনে হয় আপনার এই কাজটা ঠিক না।

ধরুন আপনি বেশি খেতে পচন্দ করেন, এটা আপনার মেসের অনেকে পচন্দ নাও করতে পারে, পক্ষানতরে আপনার মা কিন্তু সবসময় চাই আপনি বেশি করে পেঠ পুরে খান।

তাই বেশি অতিরিক্ত খাওয়াটা যেমনে ভালো না, তবু এই অভ্যাস টা আপনার সাথে চলা কারো না কারো ভালো লাগবে।

আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টের কোন মেয়েকে প্রশ্ন করুন, অথবা আপনার কোন পরিচিত কোন অবিবাহিত মেয়েকে।তাকে জিগ্যেস করুন আপনি কেমন।সে আর যাই বলুক অতন্ত্য এটা বলবে না আপনি অনেক সুন্দর,আর আপনার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিগ্যেস করলে সে এতটুকু বলবে,যা কিনা ঠিকটাক উত্তর কিনা বুঝতে পারবেন না।কারন সব মেয়েই একটু জটিল ভাবে ছেলেদের সাথে কথা বলে।

আর বলবেই না কেন, তারা জন্মের পর থেকেই কথা চেপে রাখে, অনেক কথা, তাদের কথার স্তুপ জমা পড়ে।একদিন একদিন করে জমে থাকা কথা গুলো তরা একজনমে শেষ করতে পারে না।দুই একজন হয়ত পারে।আমি দেখেছি এমন কয়েকজনকে ও।
তাই প্রায় মেয়েই একটু লুকানো কথা বলে যাতে রহস্য রয়েছে।

এবার আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ট কিছু ছোট ভাইকে জিগ্যাস করুন, নিজের পরিবারের বাইরের ছোট ভাইয়ের কথা বলছি।
তাদের জিগ্যাস করুন আপনি কেমন?
তারা এমন কিছু উত্তর দেয়ার চেষ্টা যাতে আপনি খুশি হয়ে যান,এবং সেই ছোটভাইকে আপনি সবচেয়ে ভালো ছোটভাই মনে করেন।আমি এটা বলছি না যে ছোটভাইটা খারাপ।কিন্তু আপনাকে খুশি করতে সে অনেক গুছিয়ে বলবে,ভাই আপনার মতো মানুষ হয়না,আপনি অনেক ভালো মনের, আপনি আমাদের বিপদে পাশে থাকেন,ইত্যাদি।
খুশি না হয়ে উপায় কি!আবার যদি জিগ্যেস করেন ভাইয়ের কয়টা খারাপ গুন বলো,যদিও আপনি এটা জিগ্যেস করার প্রয়োজন অনুভব করবেন না,যদি জিগ্যেস করেন তখন আমি মনে করি এই উত্তরটাই আসবে, নাহ ভাই আপনার কোন খারাপ কিছু নেই,আপনি আসলেই ভালো।

লিখা বড় না করে শেষ করার জন্য সংক্ষিপ্ত করছি।

আপনার ঘনিষ্ট বন্ধু, যার সাথে তুই তুকারির সম্পর্কে সে আপনাকে সবচেয়ে খারাপ বলবে যা আপনার সাথে সাথে কমকরে হলেও ২০%মিল নেই,আর অনেকে বলবে আপনার মতো ভালো বন্ধু তার ছিল ঐ না,আপনি খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু তার, আপনার সাথে সে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাতে তার ভালো লাগে,পক্ষান্তরে তার যদি কোন মেয়ে সহচর থাকে তার সাথেই সে সময় কাটাতে বেশি ভালবাসে,হয়ত সেটা হয়ে উটে না তাই আপনার সাথে বেশি সময় কাটাই,ব্যতিক্রম ও আছে!

আচ্ছা তাহলে আপনাকে কিভাবে যাচাই করবেন?
দেখবেন একজন বলছে আপনি বেশি কথা বলেন, আপনি বেশি বুঝদারি করেন,আপনি নিজেকে বড় করতে চান সবার থেকে,কিন্তু সে এটাও বলবে আপনি কথা গুলো খারাপ দিকে লাগাচ্ছেন না ইত্যাদি।
এখান থেকে মনে হবে না আপনার দোষ আছে,কিন্তু এখান থেকে এতটুকু বুঝতে পারবেন সে আপনার বাজে বিষয়গুলো লক্ষ করছে।

আবার কেউ আপনার প্রতিবেশি বা আপনার সাথেই উটাবসা করছে, মাস ছয়েক তার সাথে যোগাযোগ না থাকার পর জিগ্যাস করুন আপনার কয়টা স্বভাব বলতে,সে ভালো মানুষ শব্দটাই বলতে পারবে।কেন ভালো মানুষ, কয়টা গুন বলতে বলুন,তখন সে স্বৃকার করতে বাদ্যই হবে মনে নেয় আপনার স্বভাব গুলো।
এখান থেকে এটাই শিখা যায়, কেউ আপনাকে নিয়ে ততটাই ভাবে যতটা তা প্রয়োজন হয়।

আরো অনেক কিছু লিখার আছে, ইনশাআল্লাহ লিখবো।
এটা আমার অনুসন্ধান অনুসারে কিছু আনুমানিক তথ্য।
আপনার ভালো নাই লাগতে পারে,কারো ভালো লাগবে।তাই আপনি যে কষ্টপাথর ব্যবহার করছেন অন্যকে যাচাই করতে,সেটা সবার টার মতো না।তাই অন্যকে নিজের সাথে তুলনা করে নিজেদের সাথে তুলনা করুন।
একটা মানুষের অনেক খারাপ দিক থাকতে পারে যেমন ভালো দিক একটা হলেও আছে।তাই আমারদের উচিত অন্যের করা ভালো দিকটা অনুসরন করা,অন্যের খারাপ দিকটা নিয়ে সমালোচনা না করে সরাসরি তাকেই বলুন,আপনি হয়ত তার শক্রু হয়ে যেতে পারেন,কিন্তু তার বিবেক টিকই তাকে তাড়া করবে।

সবাই সুস্থ থাকুন,সুস্থ রাখুন

লেখকঃ শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ