ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড; ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
কানাইঘাটের বড়চতুল ইউপির চতুল বাজারে রবিবার ভোরে অগ্নিকান্ডে চতুল এলাকার রাউতগ্রামের হরিপদ শর্মা ও তার ভাই গৌরাঙ্গ শর্মার মালিকানাধীন একটি টিনসেডের মার্কেটে মশার কয়েলের আগুনে ১৪টি দোকান, ২টি মন্দির ও একটি ট্রলি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে কানাইঘাট থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চতুল বাজারের ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ (কান্দিগ্রামের) হারান ঠাকুরের পুত্র রিমন ঠাকুর শনিবার রাতে তার দোকানে কয়েল জ্বালিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার দোকানে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি দৌড়ে দোকান থেকে বের হয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আগুন নেবানোর চেষ্টা করেন। এসময় আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান গুলোর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন- অনিল শর্মা, মনির উদ্দিন, নজমুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সমছির আলী, নুরুল আমিন, জলাল উদ্দিন, ফখর উদ্দিন, হারান শর্মা, আব্দুর রশিদ, আব্দুল হেকিম, কেরি, আব্দুর রশিদ, গৌরাঙ্গ শর্মা প্রমূখ।
এদিকে রবিবার সকালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করেছেন কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, সাবেক চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মুবশ্বির আলী চাচাই, জৈন্তাপুর দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফয়েজ আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলিম উদ্দিন, চতুল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী ইসমাইল আলী, কানাইঘাট থানার এসআই রাজিব মন্ডল, ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম জামিল, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, ইউপি যুবলীগের আহবায়ক জাহেদুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক দেলোয়ার শিকদার প্রমূখ।
এশিয়াবিডি/কেকে/আলিম