ধর্ষকের চিৎকার
ঘুটঘুটে অন্ধকার কক্ষে মুখ বাঁধা মেয়েটির গোঙানি ছাড়া সুমনকে বাধা দেয়ার কেউ ছিলো না। দুপুর থেকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় থাকা মেয়েটির সুমন নামক পশুটিকে নিবৃত্ত করার যথেষ্ট শক্তি না থাকায় সহজেই আরও একটি কুমারিত্ব হরনের পাশবিক দাপুটে হাসি ফুটে উঠেছে দানবটির মুখে৷ শীতলকে বলেছিল আগের বারের মত ব্যবহৃত জিনিস তার কাছে
আনলে মহানগর কমিটির সভাপতির পদের মত জেলা কমিটির সভাপতির
পদও হাতছাড়া হবে তার৷ শীতল কথা রেখেছে, অন্ধকারে মুখ না দেখলেও
মেয়েটি যে কুমারী ছিলো এই বিষয়ে সন্দেহ নাই সুমনের৷ কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতি
করার সুবাদে এতো বেশি নারী শরীরের স্বাদ সে পেয়েছে যে, নতুন পুরাতনের পার্থক্য সে খুব সহজেই বুঝতে পারে।
কাজ শেষে শীতলকে হাক দেয় সে,
-শীতল এই দিকে আয়, কি এক অন্ধকার একটা রুম দিলি রে ভাই। আমিও আবার ভুলে মোবাইলটা তোর রুমে
রেখে আসছি। কোনও আলো নেই।
– নিরাপত্তার স্বার্থেই অন্ধকার ভাই। আজকাল কোন চিপায় চাপায় সি সি ক্যামেরা লাগানো থাকে তা বুঝা দায়। তাই রুমের লাইট বাহির থেকে অফ করা আছে৷ আর চিনি তো আলোতে যেই স্বাদ অন্ধকারেও সেই স্বাদ৷
খিলখিল করে হেসে উত্তর দিলো বাহিরে লোকজন নিয়ে পাহারায় থাকা শীতল।
– কাজ শেষ হইলে বলেন, লাইট দিয়ে দেই। এক নজর দেখে বের হইয়েন৷
তৃপ্তির হাসি হেসে শীতলকে লাইট জ্বালানোর নির্দেশ দেয় সুমন।
মুহুর্তেই আলো জ্বলে উঠল। সদ্য কুমারিত্ব হারানো মেয়েটি কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে খাটে।
একটু পর পর শরীরটা কেঁপে উঠছে কেবল। মেয়েটির জামা দেখে ইডেনে পড়ুয়া ছোট বোনের কথা
মনে পড়ে সুমনের৷ এমন জামা ই তো গত ঈদে কিনে দিয়েছিলো সে৷ মনে অজানা এক ভয় নিয়ে কৌতুহলে মেয়েটির মুখের বাঁধন খুলে দেয় সে৷ নিজের পাশবিকতার শিকার হওয়া আদরের ছোট বোনের মুখটি দেখে মুহুর্তেই সুমনের আত্মচিৎকারে কেঁপে উঠে ৬ তলা ভবনের ছাদ।
বাহির থেকে শীতল খলখল করে হাসে আর চিৎকার করে বলে,
-গত কমিটির জন্য ৩০ লাখ দিয়েছিলাম, কচি মাইয়া পাইয়া বেইমানি করছিলি শালা। এবার নিজের বোনের ভার্জিনিটি মাপ কুত্তার বাচ্চা। আর রাজনীতি কারে কয় তোর এই শীতল বাপের কাছ থেকে শিখে রাখ। পুলিশকে ফোন দেয়া আছে, সাংবাদিকও আসবে এখনই।
বলেই বাহির থেকে রুমে তালা মেরে স্থান ত্যাগ করলো শীতল বাহিনী।
লেখকঃ বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কেকে

