সিলেটের কানাইঘাটে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবে পণ্ড কারিতাস’র সেমিনার
সিলেটের কানাইঘাটে উগ্রপন্থী হেফাজতে ইসলামের ক্যাডাররা ‘কারিতাস বাংলাদেশ’র নারী অধিকার বিষয়ক সেমিনারে হামলা এবং সংগঠনটির এক নারী কর্মীকে লাঞ্চিত করেছে। গতকাল (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন এবং আয়োজকদের বরাত দিয়ে আমাদের কানাইঘাট প্রতিনিধি জানান,গতকাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ‘কারিতাস’ সদস্য শামীম উদ্দিনের বাড়ির হলরুমে ‘নারী স্বাধীনতা ও সম অধিকার’ বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করেছিল অলাভজনক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান “কারিতাস সিলেট” শাখা। এ খবর জানতে পেরে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘বড়দেশ আসআদুল উলুম কওমী মাদরাসা’র ছাত্র-শিক্ষকরা গতকাল দুপুরে সশস্র হামলা চালায় মেম্বার শামীমের সেমিনার হলে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে আয়োজকদের পুরুষ সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে পাশের বাড়ি আশ্রয় নিলেও নারী সদস্য বনিতা পাল রেহাই পাননি হেফাজত কর্মীদের আক্রমন থেকে। উগ্র হেফাজত কর্মীরা ‘কারিতাস’ সদস্য বনিতা পালকে আটকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। বনিতা পালকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য শামীমের পরিবারের নারী সদস্যরা এগিয়ে এলে হেফাজত কর্মীরা তাদেরকেও লাঞ্চিত করেছে। তাণ্ডব শেষে হেফাজত নেতাকর্মীরা হলরুমে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
যোগাযোগ করা হলে সেমিনারের আয়োজক সংগঠনের সদস্য মোঃ শামীম উদ্দিন বলেন,’৮ নং ওয়ার্ডের নারীদেরকে তাদেরকে অধিকার বিষয়ে সচেতন করার জন্য আমরা একটি সেমিনার আয়োজন করেছিলাম। আমাদের শান্তিপূর্ণ সে সেমিনারে মাওলানা জামাল উদ্দিন তার মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষক নিয়ে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছেন। আমার বাড়ির হলরুম পুড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের হামলায় আমাদের নারী সদস্য বনিতা পাল আহত হয়ে এখন হাসপাতালে।
মামলা করছেন কি না জানতে চাইলে শামীম জানান,হেফাজত যেভাবে উগ্রতা এবং হিস্র হয়েছে মামলা করলে তারা আরো ভয়ংকর ও বেপরোয়া হতে পারে। তাই,আপাতত আমরা মামলা না করে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে মৌখিক অনুরোধ জানিয়েছি।
হামলার অভিযোগ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন,’স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম কারিতাসের মাধ্যমে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষকে ইসলাম বিরোধী শিক্ষা দিতে চাচ্ছেন। হেফাজত তা মেনে নেবে না। হেফাজত সর্বশক্তি দিয়ে তাদের তৎপরতা দমন করেছে,ভবিষ্যতেও করবে।’