কবিতাঃ কেউ একজন- হোক প্রিয়জন
কেউ একজন- হোক প্রিয়জন
মোঃ তোফায়েল হোসেন
ভার্চুয়াল মোহমায়ায় সাম্প্রতিক প্রকাশিত হলো
“অবিশ্বাস”
সাথে কবিতা স্রষ্টার মনমোহিনী প্রজ্বলিত দু’চোখ।
রং-অন্ধ এই আমি ঠিক বুঝেও বুঝিনি
তার শিরে খয়েরি নাকি লাল স্কার্ফ।
শুধু দেখেই রক্তের গতিতে সিগন্যাল দিল-
নান্দনিক ভাঁজে সেফটিপিনের অপরূপ নিবন্ধন।
অজান্তেই সাংকেতিক সাইক্লোন বহিয়ে দিল-
কালো হাতঘড়িতে বাঁধা
বৃহন্নলার পাহারায় ঢেকে রাখা অচেনা অদৃশ্য মুখ।
সূচ্যগ্র সাকিনে- হাতের মুঠোয় স্পন্দিত হলো
তার প্রাগৈতিহাসিক স্থিরচিত্র।
আমার মরুদ্যানসম মন সোমত্ত স্বতন্ত্রে
সুরশৃঙ্গার বাজিয়ে সার্বভৌম প্রতিধ্বনি তুলে
একাকিত্বের নালিশ জানালো- অস্থির সন্ধ্যায়।
সম্প্রসারিত বায়োস্কোপ দৃষ্টিতে স্থাপিত ছিল
সমানুপাতিক অদ্ভুত সম্মোহন!
আর সেই দংশিত দোলায়মান সম্প্রচার দেখে-
আমার অস্তিত্বে অচেনা সুখে
মিথ্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিল।
কথার ছলে লেখা হলো আলোজ্বলা স্কিনে!
ডাংগুলি ডিনামাইটের নিচ্ছিদ্র নিয়ন্ত্রণে-
যেন তার আঙুল আলতো করে ছুঁয়ে দিলো
আমার নিবন্ধিত উদাসী প্রহর।
অতঃপর
তার স্টিকারময় মায়াবী পোয়াতি ইশারায়-
অক্সিজেন শূণ্যতায় আমার হয়ে গেল
ক্ষণিক রঙ্গিলা শ্বাসকষ্ট।
হৃদয়ের প্ল্যাটফর্মে উৎকন্ঠার সানাই বাজিয়ে
তার কথার স্ফুলিঙ্গ দিল- সরীসৃপ সুড়সুড়ি।
অদেখা তারে দেখলাম স্বপ্নের প্রক্রিয়াকরণে
আমার বক্ষঃস্থলের সুঘ্রাণে স্কাটাবৃত সে ঘুমন্ত!
হাইড্রোজেনের হকারের সাথে হেঁটে যেতে
দেখলাম- সে মহিলা সমিতির সংশয়;
জানলাম- তার দোভাষী কন্ঠই নীল সন্ত্রাস!
তবুও চাই
সেই হোক আমার প্রখ্যাত এক্সচেঞ্জে
কুখ্যাত প্রেমের বিখ্যাত পেনিসিলিন!
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কেকে

