রম্য গল্পঃ পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ

ইমা-কে ‘‘সাইকেল’’ বললেই প্রথমে অগ্নিমূর্তি হয়; তারপর টর্নেডোর মতো ধেয়ে আসে আমার দিকে। যদিও তার আকার আকৃতি কোনটাই সাইকেলের মতো নয় তবুও তাকে দেখলেই কেন যে সাইকেল বলাটা থামাতে পারিনা- বা কেন যে তাকে এ কথাটা বলে ক্ষেপাই নিজেও জানি না। সাইকেল জিনিসটার সাথে ইমা’র কোন সম্পর্ক নেই; এমনকি সাইকেলের সাথে তার স্বভাব চরিত্রেরও কোন মিল খোঁজে পাইনা। তবুও তাকে দেখলেই একেবারে পাশে গিয়ে ছোট্ট করে ‘‘সাইকেল’’ বলেই ফিক করে হেসে দেই। সে কখনো হাত চালায়, কখনোবা ডান পা, কখনোবা বাম পা; আবার কখনো পুরো শরীরটা আমার উপর চালিয়ে দেয়। আমি প্রস্তুতি নিয়েই ‘‘সাইকেল’’ বলতে যাই বিধায় তার কোন পন্থাই আমায় স্পর্শ করতে পারেনা।

কখন, কোথায়, কি কারণে প্রথম তাকে সাইকেল বলেছিলাম- মনে থাকলেও আজ এখানে বলবো না। তবে সাইকেল বললে সে কেন যে রাগ করে- তা হয়তো সে নিজেও জানে না। সুন্দরী তন্বী মেয়েটার রাগ হয়তো সাইকেলে নয়- সবটাই আমার ওপর। অথচ আমি তো কখনো তাকে চোখ মারিনি বা প্রেমের কথা বলিনি। কখনো হে গো সুন্দরী অথবা বৌ বলে ডাকিনি। যদিও সে আমার প্রেমিকা বা বৌ- এধরনের কিছুই নয় তবুও কেন যে সাইকেল মার্কা শিহরণ আমাকে তার কাছে চুম্বকের মতো টেনে নেয়- কেন যে সাইকেল বলিয়ে তার চড়ুই নাচের তাল তুলে আমাকে দৌড়বাজ বানায়- ভেবে পাইনা।

তাকে ‘‘সাইকেল’’ বলার পর তার দুধে আলতা গালটায় রক্তের ছাপ এমন দৃশ্যমান হয় যে- আমার যুবক মন নেচে উঠে তাতে। হয়তো আমার অজান্তেই তার রক্তিম মোলায়েম গালের শিহরণই আমাকে ‘‘সাইকেল’’ বলতে বারবার উদ্বুদ্ধ করে।

তাই তো একদিন ক্যাম্পাসের শিরিশ তলায় চন্দনা আর অনিশার সামনেই ঘটল- অঘটন। তারা দু’জনকে ইশারায় চুপ থাকার সংকেত দিয়ে- ইমা’র অগোচরে তার পিছন থেকে পা টিপে টিপে হেটে গিয়ে- একদম চুপিচুপি তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলাম ‘‘সাইকেল’’!

ইমা চমকে উঠে দ্রুত ঘুরে গেল আমার দিকে। আমাকে দেখেই সে তার ডান পা চালালো! কিন্তু সেদিন তার কপাল মন্দ ছিল নাকি আমার কপাল ভালো ছিল জানি না- ইমা তার বোরকায় জড়ানো পায়ের নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে ভারসাম্য হারিয়ে উড়ে এসে আমার বুকে ধপাস করে পড়লো। মট্ করে একটা শব্দের সাথে- ভীষণ ব্যথায় আমার বুকটা অবশ হয়ে গেল। মুহূর্তেই আমার চোখের তারায় জোনাকী পোকার জ্বল জ্বল আলো খেলে গেল।

ইমা যেন খানিক ঘুমিয়ে নিল আমার জ্বালা ধরা বুকের জমিনে। তারপর আমার দুই হাতে- তার দুই কাঁধ ধরে- তাকে ঠেলে দিতে দিতে ঝাপসা চোখেই দেখলাম- ইমা’র মসৃন গালে পাগল করা সেই গোধূলীর রং। আমার কি হয়েছিল তখন- জানি না। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েও মুখটা বাড়িয়ে আলতো করে আমার শুষ্ক দুই ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলাম তার গালে।

মুহূর্তের নোটিশে কি হয়ে গেল উপস্থিত বাকি দুই যুবতী বুঝলো কিনা- জানিনা। তবে ইমা ঠিকই বুঝেছে স্পর্শের স্পার্কিং। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে- মারমুখি হয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে- আচমকা আমার বুকে বসিয়ে দিল এক ঘুসি। এ পৃথিবী তৎক্ষণাত অন্ধকার হয়ে গেল- কান্ডকাটা গাছের মতো ধপাস করে ঘাসের মধ্যে পড়ে গেলাম।

হাসপাতালের বেডে যখন জ্ঞান ফিরে পেলাম তখন তিন সুন্দরীর কেউই দৃশ্যে ছিল না। বরং মায়ের ব্যাকুল মায়াময় মুখ আর অশ্রুভেজা চোখ দৃষ্টিতে ধরা পড়লো। পৃথিবীতে মা-ই আমার সব আর আমিও মায়ের সব। কেউ নেই প্রিয়জন আমাদের দু’জনের। তাই পাঁজর ভাঙ্গা এই আমি- মায়ের আঁচলেই মুখ লুকালাম বিধায় তার মুচকি হাসিটা তখন আর দেখতে পেলাম না।

মায়ের চাকরীর কারণেই- মা আর আমি এ শহরে থাকি। অনিশা আমার প্রতিবেশী হলেও ইমা আর চন্দনা কোথায় থাকে, কোথা থেকে কিভাবে ক্লাসে আসে তা আমি জানতাম না। তবে একসাথে পড়তাম বিধায় একে অপরকে চিনতাম। এখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাদের সাথে একটা ভালো (!) সম্পর্ক হয় আমার। অচেনা এ শহরে আমার একাকিত্ব হয়তো তারা বুঝেছিল। তাই নিয়মিতই আমাকে ক্যাম্পাসে সময় দিত। আর পাজির পা ঝাড়া এই আমি সারাক্ষণ তাদের সাথে ফাজলামী করতাম।

পাঁজর ভাঙ্গার শব্দটা এখনো আমি শুনতে পাই। বাবা-রে বাবা- কি ভয়ংকর মেয়ে! হাসপাতালে বেডে শুয়ে শুয়ে ভেবেছিলাম- ভালো হলে একবার ইমাদের ঠিকানায় গিয়ে দেখে আসবো। কিন্তু যখন বাসায় ফিরলাম তখন- কিছুটা দুঃখ কিছুটা ভয় নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সাহস হারিয়ে ফেললাম। না-রে বাবা- এই সাইকেলের প্যাডেল আমি আর ঘুরাচ্ছি না। আজ থেকেই বিদায়।

চন্দনা আর অনিশা অবশ্য আমাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। তাদের দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। কিন্তু যখন তাদের সাথে ইমা নেই দেখলাম তখন কিছুটা স্থির হলাম। তারা কিছুক্ষণ আমার ব্যথায় ব্যথিত হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেল। কিন্তু এ ফাঁকে আমি আরেকটা বিষয় আবিষ্কার করলাম। সুন্দরী চন্দনা- আসলেই তো দারুণ সুন্দর!

কোন মেয়েকে দেখে- দৃষ্টিতে আমার কখনো নষ্টামি খেলা করতো না- হয়তো এটা আমার মায়ের শিক্ষার ফল। কিন্তু মায়ের কাছ থেকে দুষ্টুমি প্রতিরোধের শিক্ষাটা যতই পাইনা কেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি বিধায়- সেটা মুহূর্তেই খেলে যেত মনের গহিণে।

সুস্থ হলাম। ফিরে এলাম সুন্দরীদের মাঝে! তবে ইমা’র লেজে আমার পা আর যাতে না পড়ে সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখলাম। যেন ইমা’র ওপর আমার খুব রাগ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা ছিল ভিন্ন। র্দুঘটনাটার জন্য ইমাকে দোষ দেয়া যায় বলে আমি মনে করিনা। তবুও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটা ক্যাম্পসে বিভিন্ন রূপে ছড়িয়েছিল। একেকজন একেক রকম করে জেনেছিল।

ইমার অনুপস্থিতি টের পেলেও কাউকে কিছু জিজ্ঞাস করার আগেই চন্দনা জানালো- ইমা আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আরও জানালো- লাজুক মেয়েটা লজ্জায় আর ক্যাম্পাসেই আসছে না এ-কদিন ধরে। আমি প্রতিউত্তরে কিছুই বললাম না।

মনে পড়লো- হাসপাতাল আর চন্দনা। মনে পড়লো চন্দনা সুন্দরীর নতশিরে দাড়িয়ে আমার মাথায় হাত বুলানো দৃশ্য। কল্পনার চোখে ভেসে উঠলো একটা কিছু। তারপর আবারও দুষ্টুমিটা মাথায় খেলে গেল।

অনিশার সামনেই চন্দনাকে ‘‘নারিকেল’’ বললাম। সে না-বুঝে- কি বললাম, কাকে বললাম কথাটা- জানতে চাইলো। আমি বললাম- যার কাছে নারিকেল আছে তাকেই বললাম। চন্দনা চোখ সরু করে আমার দিকে তাকালো। আমি ঠোঁট বাকিয়ে হাসলাম। সে আমার পিঠে আলতো করে কিল বসিয়ে দিল। ফাজিল বলে গাল দিল। আমিও পেয়ে গেলাম- ‘‘নারিকেল’’। একটা নয়- দু’ দুটো!

এই থেকেই ‘‘নারিকেল’’ বললেই চন্দনা ক্ষেপে যেত। নারিকেল বলতে চন্দনা কি বুঝেছিল জানি না তবে অনিশা চুপ করেই ছিল সে সময়। কথাটা ভাবলেই আমি একা একা হাসি। আমার ভাবনা যদি ভুল না হয় তবে- নারিকেল বলাতে অনিশাও তো ক্ষেপতে পারতো। চন্দনার মতো করে ভাবলে তো- অনিশারও নারিকেল আছে!

তবে চন্দনা মেয়েটা ইমার মতো এতটা অগ্নিমূর্তি হতো না। কিন্তু সে যে নারিকেলওয়ালী তা অনুভব করে- মনে মনে আমার দৃষ্টির প্রশংসা নাকি বদনাম করেছিল- আমার আর জানা হলো না।

তার আগেই একদিন অনিশা আমাকে বললো- আমি নাকি আস্ত একটা খচ্চর! আমি যখন চন্দনাকে ‘‘নারিকেল’’ বলি তখন তারও নাকি রাগ হয়। আমি আর কি বলবো! শুধু বললাম- তাহলে তোমারও অনুভূতি আছে দেখি! তবে তোমাকে ‘‘তাল’’ বললেই যথার্থ হবে। সে মুখটা ভারি করে ‘‘ইতর’’ বলে গালি দিয়ে চলে গেল।

তারপরও ক্যাম্পাসে- শিশির গাছের নিচে আমাদের আড্ডাটা থেমে থাকেনি। নারিকেল আর তাল নিয়ে আমি বেতালে পড়েছি। অনুভব করলাম- দু’জনই নারিকেল আর তাল নির্বাচনে আমার পরিপক্ক দৃষ্টির মাঝে ডুব দিতে চাচ্ছে। এ বিষয়টা- প্রহসন কিনা- বুঝে উঠার আগেই নাটকের মোড় অন্য দিকে ঘুরে গেল।

এক সন্ধ্যায় মা জানালেন- মনি নামের একটা মেয়েকে তিনি আমার জন্য পছন্দ করেছেন। আমি তো লজ্জায় লাল- গোপাল। মায়ের সহজ সরল উক্তি- তোমার নারিকেল আর তালের গল্প নারিকেলওয়ালী আর তালওয়ালী আমাকে শুনিয়ে দিয়েছে কয়েকদিন আগেই। আর সাইকেলওয়ালীর ঘুসি তো আমাকে তখনই ভাবনায় ফেলে দিয়েছিল। আমি চাই না আবার নারিকেল অথবা তাল পড়ুক তোমার মাথায়। নারিকেল, তাল এগুলো খুব শক্ত হয়। মাথা ফেটে চৌচির হওয়ার আগেই তোমার বেতালকে তালে নিয়ে আসি।

অদ্ভুত হলেও সত্যি আমি মায়ের কথায় কোন প্রতিবাদ করিনি। বরং খুশিতে বাক-বাকুম। বিষয়টা দ্রুত এগিয়ে গেল। আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে মেয়ে পক্ষকে দেখানো হলো। অতঃপর পাত্র-পাত্রীর দেখার দিন তারিখ ঠিক হলো।

গ্রীষ্মকালীন ছুটি হয়ে যাওয়ায় চন্দনার দেখা আর পেলাম না। তবে অনিশার সাথে দেখা হয়ে গেল তপ্ত দুপুরে। সে সুর-তোলা নুপূরে আমাকে থামিয়ে দিয়ে- মুচকি হেসে হঠাৎ করেই চোখ মেরে দিল। আমার চঞ্চল চোখ তার চোখে রেখে সহজ সরলভাবে বললাম- তাল কিন্তু পেঁকে গেছে। সে মুখ কালো করে বলে গেল- তাতে তোমার কি?

আসলেই তো- তাতে আমার কি! কিন্তু ক্ষণকাল পরেই অনিশার ‘‘তাতে তোমার কি’’ কথাটার হাহাকার বুঝলাম। আমি তাকিয়ে দেখলাম অনিশা অনেকটা দূর চলে গেছে। দৌড়ে গিয়ে তাকে থামালাম। দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে বললাম- আমি আর বুঝে কি করবো; মা তো বুঝলো না ‘‘তাতে আমার কি’’। অনিশা হাঁ করে তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। আমি ফিরতি পথে পা বাড়ালাম। অনুভব করলাম- দুটি অচঞ্চল চোখ তাকিয়ে আছে আমার পিঠে।

অবশেষে থমথমে এক গোধূলীময় সোনালী সন্ধ্যায় একদম পারিবারিকভাবে মনিকে দেখতে আমি আর মা রওয়ানা হলাম। যদিও মা আগেই তাকে দেখে গেছেন তবুও আমার সাথে মাকেই যেতে হবে বলে আমি বায়না ধরেছিলাম।

গন্তব্যে পৌঁছে পাশের বাড়ির বারান্দায় চন্দনাকে দেখে কিছুটা চমকে গেলাম। মাকে- নাকি আমাকে দেখে চন্দনা এগিয়ে এলো জানি না। তবে সে মাকেই প্রথম কুশলাদি জিজ্ঞাস করলো। তারপর আমার দিকে তাকিয়েই কেমন যেন একটা শয়তানি হাসি দিল। যদিও মায়ের সামনে কিছু বলতে পারছিনা তবুও মনে মনে বললাম- নারিকেল।

ভুল হয়ে গেল! মনে মনে বললেও চন্দনা ঠিকই শুনে ফেললো। তারপরও তার শয়তানি হাসিটা মুখে লেগেই রইল। ভাগ্যিস মা শুনেননি- না হলে আমার কান লাল করে দিয়ে আমাকে হবু শ্বশুড়বাড়িতেই বেজ্জত করে দিতেন।

ঘন্টাখানেক আমার যুবক মনটাকে অস্থির রেখে- যাবতীয় আপ্যায়ন শেষে- মনিকে আমার সামনে আনা হলো। আমি তো লজ্জায় মরি মরি। চোখ তুলে তাকিয়েই- বুলেট গতিতে আবার দৃষ্টি নামিয়ে নেই। স্পষ্ট দেখা হয়না- আলো ছায়ার খেলায়। পর্দা দেওয়া লজ্জায়।

মনি নামের মেয়েটি- পাগল করা মিষ্টি একটা সুগন্ধ নিয়ে এসেছে। খয়েরি আঁচলের আড়ালে তার মুখাবয়বের লুকোচুরি আমার স্পন্দন বাড়িয়ে দিল। কোলের উপর রাখা অদ্ভুত সুন্দর বাহুযোগল আমায় স্বপ্নপুরীতে ঘুরিয়ে আনলো। মেয়ে- তুমি নারিকেল অথবা তাল থেকেও অনেক সুন্দরী- মনে মনে এ কথাটাই বললাম। মাকে ধন্যবাদ দিলাম হাজারবার।

মা হঠাৎ করেই মনিকে বললেন- একটু মুখ তোলে তাকাও তো মা- মনি। মায়ের কন্ঠ শুনে- লাজুক লতা আরও কুঁকড়ে গেল। মনির পাশে বসে আছেন তার এক ভাবি। তিনি- মনির বুকে ঠেকিয়ে রাখা থুতনিতে হাত রেখে মুখটা উঠালেন। সরিয়ে দিলেন খয়েরি আঁচল।

লাফ দিয়ে উঠলো আমার হৃদপিণ্ড! আমিও লাফ দিতাম- যদি না মা আমার হাঁটুতে হাত রেখে চাপ না দিতেন। পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ আমার কানে বাজলো। প্রতিধ্বনি তুলে বেজে বেজে ক্ষীণ হয়ে মিলিয়ে গিয়ে আবার তীব্র শব্দে বেজে উঠলো; আবার ক্ষীণ হয়ে মিলিয়ে গেল। কতক্ষণ এমন হলো জানি না। তবে সেই সাইকেল, সেই ইমা, পাঁজরে পাগলী, এই মনি- এই ইমা মনি যখন চোখ তুলে- আড়চোখে আমার দিকে দৃষ্টি দিল- আমি তার রক্তিম গালে- কল্পনায় আমার দুই ঠোঁটের চিহ্ন দেখতে পেলাম।

বাড়ি ফিরে জানলাম- হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফেরার আগেই ইমা’র মা-বাবা ইমাকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপরই মায়ের আগ্রহে আমার অজান্তেই এতদূর পানি গড়ালো। আমার পাঁজর ভাঙ্গার গল্পটা মায়ের পাঁজরে একটু অন্যভাবেই লেগেছিল হয়তো।

ইমা আর চন্দনাও জানতো বিষয়টা। কিন্তু অনিশা জানতো না কিছুই। তাই সে তাল দিয়ে বেতাল ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু নারিকেলওয়ালীর বিষয়টা আমার বোধগম্য হয়নি- সে তিন সন্তানের মা হওয়ার পরও।

আর- আমার সাইকেল চালানোর গল্পটা বলবো কি! আচ্ছা- শুনুন তা হলে। হা… হা… হা… হি… হি… হি…। এক… হি…হি… দিন… হি… হি… হি… সসস…ন…ধায়… হি হি হি…। আ-হা-রে সাইকেলটা এমন জায়গায় সুড়সুড়ি দিচ্ছে যে… হা… হা… হি… হি…

লেখকঃ কবি, প্রাবন্ধিক
কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ