অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

মৌলভীবাজার আল-হামরা (প্রাঃ) হাসপাতাল নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ শিহাবের স্বাক্ষরিত প্যাডে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিবাদ
বার্তা পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয় আল-হামরা (প্রাঃ) হাসপাতালকে নিয়ে গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর ২/৩ অনলাইন নিউজ পোর্টালে এবং একটি স্থানীয় পত্রিকায় ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে হয়। যা উনার দৃষ্টিগোচর হয়।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, “শ্রীমঙ্গলের ভৈরব বাজার এলাকার জনৈক মাসুক দেওয়ান উনার স্ত্রী সাজবিন দেওয়ানকে নিয়ে ডেলিভারীর জন্য আল-হামরা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে স্বজনদের হাসপাতালে জোরপূর্বক আটক করে পিস্তল বাহির করিয়া শুট করিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। হাসপাতালের গেইটের সম্মুখে থাকা একটি সাদা রংয়ের কার হইতে একজন অজ্ঞাতনামা লোক বাহির হইয়া হুমকি দিয়ে বলেন যে, রোগীনীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য। তার কথা অমান্য করা মাত্রই অজ্ঞাতনামা লোক
তাহার প্রাইভেট কারের ভ্যান হইতে একটি ব্যাগ বাহির করিয়া ব্যাগের ভিতর হতে একটি পিস্তল বাহির করে আমাকে রোগীনীসহ শুট করিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। হাসপাতালের মালিক সিহাব ও কর্মচারীগণ বাধা দিলে তখন পিস্তল ব্যাগে রাখিয়া একটি কিরিচ বাহির করিয়া কিরিচ দিয়ে আমার সিএনজি গাড়ীর ড্রাইভারকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়া রুগিকে নিয়া যাইতে বাধা প্রদান করেন”।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আনিত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, জনৈক মাসুক দেওয়ান উনার স্ত্রী সাজবিন
দেওয়ানকে নিয়ে ২৭ নভেম্বর রাত ১২ ঘটিকার সময় হাসপাতালে ডেলিভারী করাতে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে দেখে ব্লাড গ্রুপিং, হিমোগ্লোবিন ও আল্ট্রাসনগ্রাফি টেস্টের রিপোর্ট দেখতে চান।
কিন্তু তাদের সাথে এ গুলোর কোনো রিপোর্ট ছিল না। এমনকি ব্লাড গ্রুপও জানা ছিলনা। পরবর্তী গাইনি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরার্মশ করে রোগীর অবস্থা জানালে ব্লাড গ্রুপিং, হিমোগ্লোবিন ও আল্ট্রাসনগ্রাফি টেস্ট করার কথা বলেন। কারণ এই পরীক্ষা ছাড়া কোনো অবস্থাতে রোগীর সিজার করা যায় না। বিষয়টি আমরা রোগীর স্বামীকে বলি।
কিন্তু রোগীর স্বামী উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আমিও পল্লী চিকিৎসক। এসব কিছু লাগে না। এগুলো ভাউতাবাজি”। রোগীর স্বামী টেষ্ট ছাড়া সিজার করার কথা বললে আমরা অপারগত প্রকাশ করি। এ সময় রোগীর স্বামী মাসুক দেওয়ান ডাক্তারকে গালিগালাজ করে রোগী নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। রাস্তায় গিয়ে অকথ্য ভাষায় ডাক্তারকে গালিগালাজ করেন।
তখন অপারেশন শেষ করে আরেকজন ডাক্তার বের হয়ে যাচ্ছিলেন। ডাক্তারের সামনে অপর ডাক্তারকে গালিগালাজ করায় বের হয়ে যাওয়া ডাক্তার প্রতিবাদ করেন। রাস্তায় দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে হাসপাতালের স্টাফরা গিয়ে উভয়কে শান্ত করে বিদায় করেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, উপরের প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে তার এবং হাসপাতালের দীর্ঘ দিনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য জনৈক মাসুক দেওয়ান থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে অভিযোগের সত্যতা যাছাইবাছাই না করে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে হাসপাতাল পরিচালক সিহাব সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে তিনি গ্রাহক, সুধী ও শুভাকাংখীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এশিয়াবিডি/প্রেসবিজ্ঞপ্তি