মৌলভীবাজার জেলায় করোনার টিকা গ্রহণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন
প্রথম করোনার টিকা নিলেন এমপি নেছার আহমদ
টিকা প্রদানের প্রথম দিনেই মৌলভীবাজারে ৮১৬ জন টিকা নিচ্ছেন। এরমধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধিসহ নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ব্যক্তিরা।
রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় টিকা প্রদান কার্যক্রম। কার্যক্রমের দিনেই প্রথম টিকা গ্রহণ করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নেছার আহমদ। এরপর একে একে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন ও প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি সহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনের ১৫টি ক্যাটগরির ব্যক্তিরা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় করোনার টিকা গ্রহন করতে নিবন্ধন করেছেন ৫৭৫৪ জন। আর জেলায় ৭ ফেব্রয়ারি টিকা নিবেন ৮১৬জন। এর মধ্যে মৌলভীবাজার-২৫০ শয্যা হাসপাতালে টিকা গ্রহন করবেন ২৯৭জন, রাজনগরে ৫০জন, কুলাউড়ায় ৩৯জন, বড়লেখয় ১০০জন, শ্রীমঙ্গলে ২০০জন , জুড়ীতে ৩০ জন এবং কমলগঞ্জে ১০০জন।
জেলার ৭টি উপজেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের সকল প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ৮ টি বুথ এবং অন্য ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৩টি করে বুথে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে জেলার ৭টি উপজেলায় করোনার টিকা বরাদ্ধ হয়েছে কুলাউড়ায় ৫৫০০ ডোজ, রাজনগর ৩৫০০, জুড়ী ২৫০০, বড়লেখা ৪০০০, কমলগঞ্জ ৪০০০, শ্রীমঙ্গল ৫০০০, মৌলভীবাজার সদর ৫৫০০ ডোজ। মোট এডি সিরিঞ্জ ৬৪৮০০টি। প্রথম ধাপে জেলায় টিকা দেয়া হবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ব্যাংক, বীমা প্রশাাসনের মাঠকর্মীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মুখ যোদ্ধাদের।
সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, টিকা গ্রহণকারীকে বুথের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। টিকা গ্রহণের ফলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা মোকবিলায় সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এই টিকা প্রদানের ফলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা মোকবিলায় সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগীতা চান। করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য এরই মধ্যে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, করোনা টিকা প্রদান সম্পাদন কার্যক্রমে জেলা পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সকলের সাথে জেলা পুলিশের সদস্যরা প্রথম পর্যায়ে টিকা নিবেন। করোনা প্রতিরোধমূলক এ টিকা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন গুজব বা মিথ্যা অপপ্রচার রোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয়, প্রতিটি উপজেলা কার্যালয় এবং তথ্য কেন্দ্রগুলোতে রেজিস্ট্রেশন বুথ খোলা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ১৫ ক্যাটাগরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এছাড়া প্রত্যেকে সুরক্ষা অ্যাপসে আবেদন করতে পারবেন।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান