রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির খানের দাফন সম্পন্ন
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রিয়াংকা পাল এবং রাজনগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান প্রদর্শনের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির খান মাধ্যমিকের ছাত্র থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাক্কালে ভারতের কৈলাশহরে শেখ মনির অধীনে বিএলএফ মুজিব বাহিনীতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৪নং সেক্টরের কৈলাশহর সাব সেক্টরে লেফটেনেন্ট ওয়াকিউজ্জামানের অধীনে যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি যুবক বয়সে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে ১৯৭৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা ৪৫ বছর রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বিগত ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিজ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। রাজনগর সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় তিনি বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খান, রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ সহ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্ধরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ১০ টার সময় তিনি নিজ বাড়ি রাজনগর উপজেলার কর্নিগ্রামের ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যায় ভোগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, ১ মেয়ে, ভাই-বোন, সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এশিয়াবিডি/ কামরান/ মুবিন



