অভাবের তাড়না ছিল নাহিদার পরিবারে, অতঃপর…

নাহিদা বাবা দিনমজুর। দিন আনেন দিন খান। কোনো ভাবেই চলছিলো না পরিবার। অভাবের তাড়না কমছেই না। অতঃপর পরিবারের অভাব-অনটন সইতে না পেরে নাহিদা বেগম (১৫) আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নাহিদা বেগম (১৫) এর বাড়ি উপজেলার বাছিরপুর এলাকার আমতৈল গ্রামেরআব্দুল জব্বারের মেয়ে।

নাহিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় ৫ ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পরে পরিবারে অভাবের কারনে পড়ালেখা করতে পারে নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঘরের তীররে সাথে ওড়না গলায় পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করে না পেয়ে ঘরে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। স্থানীয়দের সহযোগীতায় লাশ নামিয়ে আনেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

জুড়ী থানা পুলিশের এস আই বাদল আরও জানান, তাদের সংসার অভাব অনটনের। বাবা দিনমজুর, দিনে আনে দিনে খান। আমাদের ধারণা এই অভাব অনটনের কারনেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তার একটি ভাই রয়েছে, সেও মানসিক রোগী।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আত্নহত্যার কারন বিস্তারিত জানা যাবে ময়না তদন্তের পর।

এশিয়াবিডি/কেকে/এস 
আরও সংবাদ