টেকনাফ পৌরসভা সড়কের বেহাল দশা; ভোগান্তিতে জনসাধারণ
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নেই কোন উদ্যোগ!
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের টেকনাফ পৌরসভা অংশের সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। ছোটবড় গর্তে ভরপুর পুরো সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নেই কোন উদ্যোগ। যারফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
শহরের এই সড়কের শাপলা চত্বর হয়ে নেটং উঠনি পর্যন্ত বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেসব গর্ত ছোট ছিল, কিন্তু বর্তমানে অনেক বড় হয়েছে। বৃষ্টির দিনে এসব গর্ত ছোটখাটো পুকুরে পরিনত হয়। পুরো সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। সড়কে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফ পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ দৈন্দিন জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে এই সড়ক ব্যবহার করছেন। যার কারণে প্রতিনিয়ত কোন না কোন দুর্ঘটনায় ঘটেই চলেছে।
এই সড়কে গাড়িতে উঠলেই যাত্রীরা আতঙ্কে থাকে। কখন গাড়ি উল্টে গিয়ে আহত, নিহত হয় তা বলা মুসকিল। ইদানীং রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে কোন মুমূর্ষু রোগী এই সড়ক দিয় যানবাহন যোগে যাতায়াত করা একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে।
যাত্রীরা জানান, কোন গর্ভবর্তী মহিলা সন্তান প্রসবের জন্য জরুরী ভিত্তিতে টেকনাফ সদর হাসপাতালে যানবাহন যোগে যাতায়াত করলে টেকনাফ পুরাতন বাস স্টেশন সড়কে উঠলে হাসপাতালে না যাওয়ার আগেই রোগীর অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়ক মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কের উভয় পাশের ফুটপাথে বিভিন্ন দোকান-পাট বসে মূল সড়ককে সরু করে দেওয়া হয়েছে। যেকারণে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা পর্যটন উপশহর হওয়ায় দিন দিন যেমনটি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে।
পাশাপাশি মূল জনসংখ্যা ছাড়াও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অত্যাধিক। যা বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার আয়তনের চেয়ে জনসংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি হয়ে পড়েছে। তাদের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম টেকনাফ কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক।
গাড়ির চালকরা জানান, এই সড়ক দিয়ে তাদের প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে হয়। সড়কের বেহাল অবস্থা হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গাড়ির অনেক যন্ত্রাঅংশ নষ্ট হয়ে যায়।
সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেন এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেন্ডার।
পরে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অনুমতি পেলে শীঘ্রই টেন্ডার দেওয়া হবে।
এশিয়াবিডি/ সানি/ এমকে