কবি আবদুল হাই ইদ্রিছীর বাড়ীতে ফোঁটেছে রাতের রাণী নাইট কুইন
মিষ্টি সুবাস আর দুধসাদা পাপড়িতে অতুলনীয় ফুল ‘নাইট কুইন’। অনেকের কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ফুলটি রাতে নিজেকে মেলে ধরে, আবার রাতেই ঝরে পড়ে। ফোঁটার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় বহু বছর। আজ রবিবার রাতে দুর্লভ ফুলটির দেখা মিলেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে কবি আবদুল হাই ইদ্রিছীর বাড়ীতে।
কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীর আঙ্গিনায় টবে লাগানো গাছে দুইটি নাইট কুইন ফুল একই সঙ্গে ফুটে। রাতের রাণী নাইট কুইন ফুল ফোঁটার
খবরটি অল্প সময়ে আশপাশে চাউর হওয়ার ফলে বেশ কিছু মানুষ এক নজর ফুল দুইটি দেখার জন্য কবির বাড়ীতে ছুটে এসে নাইট কুইন ফুল ফোঁটার দৃশ্য অবলোকন করেন। সেই সুশোভিত নাইট কুইন ফুলগুলো দেখে সেখানে উপস্থিত সকলের মাঝে এক ধরণের আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যায়।
ফুলপ্রেমী কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীর আঙ্গিনায় টবে নাইট কুইন ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির ফুল রয়েছে। তিনি অবসরে এসবের পরিচর্যা করেন।
কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী বলেন, নাইট কুইনের গাছটি প্রায় ৭ বছর আগে এনে টবে লাগিয়েছিলাম। একাধারে ৩ বছর পরিচর্যা করার পর গাছটিতে প্রথম ফুল ফুটাছে। এরপর থেকে আজ ৪ বছর থেকে এই মৌসুমে গাছটি ফুল ফুটে আসছে।
উল্লেখ্য, ক্যাকটাসজাতীয় ফুলটি অন্য ফুলের তুলনায় একটু আলাদা। বছরের মাত্র একদিনে এবং মধ্যরাতে পূর্ণ বিকশিত হয়। আর শেষরাতেই ঝরে যায়। পাথরকুচির মতো পাতা থেকে এ গাছের জন্ম। পাতা থেকেই ফুলের গুটি দেখা দিয়ে ১৫ দিন পর বড় কলি হয়। যে রাতে ফুলটি ফুটবে, সেই বিকেল থেকেই কলিটি সুন্দররূপে সাজে। ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে এলে সৌন্দর্যে স্বমহিমায় প্রকাশিত হয় ফুলটি।