ঘটনা মর্মান্তিক – জামায়াত আমীর

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ এই শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাহদি জে আকীবকে নিয়ে। আইসিইউতে থাকা আকীবের মাথায় ব্যান্ডেজ করা। সেখানে লিখা ‘হার নেই, মাথায় চাপ দিবেন না’৷ ছবিটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে নানা মন্তব্য আসছে সোস্যাল মিডিয়ায়।

এই ছবিটি নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি লিখেন, এটিই একমাত্র মর্মান্তিক ঘটনা নয়। সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে এভাবে কতজন পাশবিক হামলার শিকার হয়েছেন? কতজন প্রাণ হারিয়েছেন? আর কতজন পংগুত্ব বরণ করেছেন? এই অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে কিভাবে বেচে আছেন তা কেবল আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

প্রতিপক্ষের রক্ত তো তাদের দৃষ্টিতে তাদের জন্য একেবারেই হালাল! সেই আবরার ফাহাদই বলেন আর বিশ্বজিৎই বলেন। প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের ওপর তাদের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর ইতিহাস আল্লাহ তা’য়ালার ফিরিস্তাগণ নিখুঁতভাবেই রেকর্ড করে রেখেছেন।

এই তরুণের নাম মাহাদি জে আকিব। সে আমাদের কাছে প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা কিংবা কর্মী নয়।

১. এদেশের একজন নাগরিক
২. মেডিকেল কলেজে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত একজন মেধাবী ছাত্র।
৩. সে তার মা বাবার একটি স্বপ্নের গোলাপ।
কিন্তু সেই গোলাপ ঝরবে না টিকে থাকবে তা কেবল আল্লাহ তা’য়ালাই ভালো জানেন।
৪. সে ছাত্রলীগের নেতা অথবা একজন কর্মী।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে৷ গত শনিবার সকালে তার কলেজের কতিপয় দলীয় সহকর্মী ন্যাক্কারজনকভাবে তার ওপর হামলা করে। মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে ভর্তি হয় চমেক হাসপাতালে। আঘাত গুরুতর। অস্ত্রোপচারের পর তার ঠাঁই হয় আইসিইউতে। এর পর থেকে নিথর পড়ে আছে আকিব। তার মাথায় এমন লেখার রহস্য জানা গেল চিকিৎসকদের কাছে।

এদের থামাবে কে? দায়িত্ব কার? মেহেরবানী করে তারা কি একটু দায়িত্বশীল হবেন?

জানাযায়, গত ২৮ অক্টোবর শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এই ঘটনার জের ধরে শনিবার আকিবের ওপর হামলা হয়।

চমেক ছাত্রলীগে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে সেখানে।

এশিয়াবিডি/ ডেস্ক/ এমকে

আরও সংবাদ