‘ভারতের পানি ও আমাদের উন্নয়নের বন্যা’
বর্ষায় পানি বাড়লে ভারত তার সুবিধামত উজানের পানি বাংলাদেশের উপর ছেড়ে দেবে। আমরা আমাদের নদীগুলোর গতিপথ, পানি প্রবাহের স্বাভাবিক পথ ও নাব্যতা ধংস্ব করে অপরিকল্পিত কসমেটিক উন্নয়ন উন্নয়ন বাঘবন্দি খেলা খেলব।
আমাদের দখল আর খুন করা নদীগুলি খননের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট চলবে কোন ড্রেজিংগের কাজ না করিয়ে। যত্রতত্র পলিথিন-প্লাষ্টিক ফেলে নালা ড্রেন সব ভরাট করে রাখবেন সচেতন জনগনরা। সাথে খাল, ড্রেনের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান চলছেই।
সেখানে অতিবর্ষন জনিত বন্যা তো নিশ্চিত পরিনতি। এবারের বন্যার মুল কারন মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি তেমনি ভারত অংশে নদী থেকে অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলনও দায়ী। দায়ী আমাদের হাওর দখল,অপরিকল্পিত ব্রিজ-রাস্তা,বাঁধ সহ নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্থ করে স্থাপনা নির্মানের কসমেটিক উন্নয়ন।
বন্যায় মানুষ বাড়ী ঘর-গবাদীপশু, ক্ষেতের ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হবে। ত্রানের নামে নতুন করে ব্যবসার, লুটপাটের খাত উন্মোচিত হবে। বন্যায় রাস্তা ঘাট ভাঙ্গবে। সেই রাস্তা ঠিক করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ঠিকাদারী কাজের খাত সৃষ্টি হবে। নদী খননের নামে নতুন করে হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আসবে। সেই টাকার পাচঁ শতাংশ কাজও না করিয়ে ঠিকাদার, এমপি চেয়ারম্যান মিলে নদী খননের জন্য বরাদ্দ আসা জনগনের ট্যাক্স ভ্যাটের পুরো টাকাটা মেরে দেবেন। তারপরও পোষ্য অর্থনীতিবিদরা ভুয়া হিসেব বের করবেন,বন্যার মধ্যেও অর্থনীতি এগিয়েছে (…) শতাংশ।
পরের বছর না হলেও তার পরের বছর বন্যা হবে। নেতাদের কাছে উত্তর রেডি থাকে সবসময়,অতি বর্ষনের সময় ইন্ডিয়া পানি ছেড়ে দিলে আমরা কি করব?
আসলেই তো,নেতারা কি করবেন! বন্যা তো হবেই,মানুষ তো মরবেই! নেতারা তো খিচুড়ি রান্না করিয়ে ত্রান দিয়ে ছবি তুলে সে ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন ।হাটুপানিতে নেমে ইস্ত্রি করা সাদা পাঞ্জাবী নষ্ট করেও মানুষের দুর্ভোগ দেখতে গিয়ে ফটোরাজনীতি করছেন। আর কি করবেন? নিজেদের জান টা তো আর দিয়ে দিতে পারবেন না।
লেখক: মুনজের আহমদ চৌধুরী
সাধারণ সম্পাদক, ইউকে বাংলা প্রেসক্লাব।