শিশুর জন্য ‘নিরাপদ অনলাইন’ নিয়ে কাজ করবে এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ
৫০টি স্কুলে শিশুর জন্য নিরাপদ অনলাইন নিয়ে একসাথে কাজ করবে এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ।
আজকাল আমাদের শিশুদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার। মোবাইল হাতে আমাদের শিশুরা প্রবেশ করছে সাইবার জগতে এবং ঢুকে যাচ্ছে জানা অজানা প্লাটফর্মে। আমি কি জানি আমাদের শিশু সাইবার জগতে কতটা নিরাপদ? আমাদের শিশুরা অনলাইনে যেসব প্লাটফর্ম এর সাথে পরিচিত হচ্ছে সেটা তার জন্য কতটা নিরাপদ?
অভিভাবকরা শুরুতে নিজেদের অবসরটুকু একান্তে কাটাতে কিংবা ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করতে শিশুদের হাতে তুলে দেয় মোবাইল ফোন। যাতে করে এই সময়টুকু নিজেকে বা কাজে ব্যস্ত থাকা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমেই পরিচয় ঘটে শিশুদের মোবাইল ফোনের সাথে। তারপর তারা হারিয়ে যেতে থাকে অনলাইনের নিরাপদ কিংবা অনিরাপদ রাজ্যে।
আমরা হাতের কোথাও ব্যাথা পেলে যেমনি হাত কেটে ফেলে দেওয়াকে সমাধান মনে করি না, তেমনি শিশুরা অনলাইনে অনিরাপদ থাকতে পারে ভেবে তাদেরকে ইন্টারনেটের ব্যবহার থেকেও দূরে রাখতে পারি না। তাই জানতে হবে নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহার। পরিচয় করিয়ে দিতে পারি, ইন্টারনেটে তারা কিভাবে বই পড়তে পারে বা কিভাবে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে পারে এসবের সাথে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে এশিয়া ফাউন্ডেশন একটা গ্লোবাল প্লাটফর্ম বানিয়েছে, যার নাম লেটস রিড। এখানে তিনশোটির বেশি গল্প আছে, যার অনেক গল্প কিছু বিদেশী ভাষাতেও অনূদিত হয়েছে। আর এই উদ্যোগকে ছড়িয়ে দিতে এবং নিরাপদ অনলাইন ব্যবহারকে জানাতে, এশিয়া ফাউন্ডেশান এবং ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ আগামী তিন মাসে ৫০টির বেশি স্কুলে কর্মশালার আয়োজন করবে।
আজ, ২১ শে সেপ্টম্বর অনেক স্বানামধন্য অতিথিদের অংশগ্রহনে এই চমৎকার উদ্যোগের শুভসূচনা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, এশিয়া ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শুক্লা দে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোমা দেব, বিশিস্ট শিশু সাহিত্যিক এবং লেখক পলাশ মাহমুদ, সমকাল পত্রিকার সিনিয়র সাব এডিটর আশিক মোস্তফা, সিপিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়েদ হোসেন, ব্যাকপেইজ পিআর এর প্রধান নির্বাহী তানজিরাল দিলশাদ দিতান, এসকলাস্টিকা স্কুলের শিক্ষক শুভ কর্মকার, স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষক আতিয়া সানজিদা, এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সাংবাদিক সুস্মিতা চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ এর পঞ্চাশজন স্বেচ্ছাসেবক।
আয়োজন সম্পর্কে শুক্লা দে বলেন, “আমাদের উদ্দ্যেশ্য কখনোই প্রিন্ট বইয়ের বিকল্প হিসেবে এপভিত্তিক বই প্রচার করা না, আমাদের লক্ষ্য যেন ইন্টানেটেও শিশুদের জন্য তাদের কথা মাথায় রেখে বই রাখা, যেন যে কোন মাধ্যমেই তারা বই পড়তে পারে।“ সোমা দেব জানান, “আমি নিজেও একজন মা। আমিও চাই আমাদের শিশুরা যেন অনলাইনে নিরাপদ থাকে এবং সেখানে বই পড়া হতে পারে একটা চমৎকার উপায়। লেখক এবং উন্নয়নকর্মী পলাশ মাহবুব বলেন, “শিশুদের নিএয় কাজ করতে হলে, আমাদের তার সাথে অভিভাবকদের নিয়ে কাজ করতে হয়। “ তিনি শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও যুক্ত করার কথা বলেন।
আজকে সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অনলাইনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। আজকের আয়োজন থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে, অনলাইনে নিরাপদ থাকার কৌশলগুলো সামনের দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিবে।