জলবায়ু কর্মপরিকল্পনায় দরকার ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার: সাবের

জলবায়ুতে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, দেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাস্তবায়নে প্রয়োজন ১৭৫ বিলিয়ন ডলার।

“মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর জন্য চিহ্নিত অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে জন্য ৪৭১.৭২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এ জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করেছে।”

বিপুল পরিমাণ এই অর্থের যোগানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মন্ত্রী।

ঢাকার সাভারে শনিবার ব্রাক সিডিএমে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এক্সেস অ্যান্ড মোবিলাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন দিনের কর্মশালা উদ্বোধন করে জলবায়ু নিয়ে কথা বলেন সাবের।

তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশগত বিষয় নয়; এটি একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক বিষয়, যা আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

“উন্নত দেশগুলোর নৈতিক এবং আইনগত দায়িত্ব রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু কর্মে সহায়তা করার। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোকে সম্মান করতে এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানে আহ্বান জানাই।”

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসের ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জের ডেপুটি হেড নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতিনিধি স্টেফান লিলার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আরও সংবাদ