প্রতিবেশীর বিরোধে জায়গা না পেয়ে ঘরের মধ্যেই মাকে কবর

সাড়ে তিন হাত মাটি না পেয়ে ঘরের ভিতরেই মাকে করব দিচ্ছেন সন্তানরা। মারা যাওয়ার পর সন্তানরা সারারাত মায়ের লাশ নিয়ে ঘরে বসে থাকলেও দেখতে আসেনি কেউ।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মারা যান জুবেদা খাতুন। হতদরিদ্র জুবেদার বসতঘর ছাড়া তেমন কোনো জায়গা নেই। যতটুকু আছে তা নিয়েও প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধকৃত সেই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছে রফিকুল। মারা যাওয়ার পর জুবেদার সন্তানরা তাদের কাছে কবরস্থানে দাপন করতে সাড়ে তিন হাত জায়গা চান। কিন্তু পূর্বের সেই বিরোধের জন্য কিছুতেই তাকে করব দিতে জায়গা দিবেন না তারা।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অজিমদ্দি গ্রামের সর্দার বাড়িতে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।

খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা চাঁদা তুলে দু’দিন পর জুবেদার করবটি সুরক্ষার জন্য ইট বালু দিয়ে পাকা করার ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধ জুবেদা ছিলেন অত্যন্ত গরিব থাকতেন ঝুপড়ি ঘরে।মানুষের সহযোগিতা নিয়ে কোনো মতে জীবনযাপন করতেন তিনি।

কিন্তু তার মৃত্যুর পর তেমন কোন লোকজন দাফন সম্পূর্ণ করতে এগিয়ে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে বসতঘরের একপাশে তাকে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল রফিকের স্ত্রী জানান, দাফনের সময় তারা বাধা দেননি।

দৌলতখান থানার ওসি সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, তিনি শুনেছেন। পূর্বের বিরোধের খোপের কারণে মাটি দিতে দেয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হৃদয়বিদারক এই ঘটনার পর এখন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ এবং এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরও সংবাদ