মৌলভীবাজারে লক্ষাধিক কিশোরীরা পাবে এইচপিভি টিকা


মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভায় চার সপ্তাহ ব্যাপী কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামীকাল।

সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ক্যাম্পেইনে মৌলভীবাজারে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৯০ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইপিআই কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এসময় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, অনলাইন প্রেসক্লাবসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মামুনুর রহমান।

সভায় জানানো হয়, জরায়ুরমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে মোট ১৮দিন টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে প্রথম ১০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও ইপিআই স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে এ কার্যক্রম চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম-৯ম শ্রেণীর ছাত্রীরা টিকা পাবে। কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা নিতে অসমর্থ হলে তারা স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে। এছাড়া স্থায়ী কেন্দ্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরাও টিকা গ্রহণ করতে পারবে।

পরবর্তী ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে কমিউনিটির ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের টিকা প্রদান করা হবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাদ পড়া ৫ম-৯ম শ্রেণীর ছাত্রীরাও টিকা নিতে পারবেন।

সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মামুনুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টিকাদান কার্যক্রম রয়েছে। এটা পরীক্ষিত যে এতে কোন কিশোরীর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এইচপি টিকা নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে, যেহেতু এই টিকা বাংলাদেশে প্রথম এবং এসম্পর্কিত অনেকের ধারণাও কম। এজন্য জনগণের সচেতনতায় তিনি গণমাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম তুলে ধরার আহ্বান জানান।

এশিয়াবিডি২৪/আ/মৌ

আরও সংবাদ