গ্রেপ্তারের পর যুবলীগ নেতা হয়ে গেলেন বিএনপি কর্মী! অডিও ফাঁস, বিএনপির নিন্দা
ফিনল্যান্ড প্রবাসী যুবলীগ নেতা ও বিভিন্ন মামলার আসামি সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে বিএনপির কর্মী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল- এমন অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগরের ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.খায়রুল ইসলাম খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক সেবু এব বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ফিনল্যান্ড প্রবাসী যুবলীগ নেতা ও আ.লীগ নেতাদের অর্থদাতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলাও আছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মাধ্যমে মুন্নাকে বিএনপির কর্মী বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে একটি মহল, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করে আসছিল সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। সেইসঙ্গে টাকা দিয়েও সহযোগিতা করেছিলো সে। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর খোলস পাল্টে বিএনপি কর্মী সাজার নাটক শুরু করে মুন্না। তার এই নাটক ছিলো মামলা থেকে বাঁচার জন্য।
এদিকে, শনিবার রাতে কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফিনল্যান্ড বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ লেখা এমন একটি ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করা হয়েছে। মিছিলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকতুল ইসলামসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলটি টাকার বিনিময়ে হয়েছে- এমন একটি রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ওই রেকর্ডে শোনা যায়, মুন্না একজনকে বলছেন- আমার পক্ষে একটি প্রতিবাদ মিছিল করাও। যা টাকাপয়সা লাগে দিবো। বাবলু ভাই ও শকু ভাইকে বলেছি। আমি এখন ওসমানী হাসপাতালে আছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে সিলেট মহানগরের নগরের শিবগঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে ফিনল্যান্ড যুবলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানাপুলিশ। মুন্না কুলাউড়ার হিরা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।