মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের পিতার চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সোহান
মৌলভীবাজারে অতর্কিত হামলা করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতার ডান চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সাহেল ইসলাম সোহান ও তার মা হালিমা বেগম। বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মাহফুজুর রহমান মবারক মিয়ার ডান চোখে দেখতে পারছেন না বাম চোখের ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম এর সহ-সভাপতি তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মবারক এর উপর পরিকল্পিত হামলা করে তার আপন ভাতিজা সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান ও তার মা হালিমা ইসলাম। অতর্কিত হামলায় মবারক মিয়া’র মুখ, চোখ ও নাকে গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দজবালী গ্রামে ১২ এপ্রিল সকালে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর মাতা রত্না বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন, সামছুল ইসলাম, হালিমা ইসলাম ও সাহেল ইসলাম সোহান।
আহত মাহফুজুর রহমান মবারক ব্যবসার জন্য পরিবার নিয়ে মৌলভীবাজার পৌর শহরে থাকতেন।
মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, হামলাকারী সাহেল ইসলাম সোহান আহত মবারক মিয়ার আপন ভাতিজা। দীর্ঘ দিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন আহত মাহফুজুর রহমান মবারক বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের তালা খোলা এবং হামলাকারীদের আসবাবপত্র তার ঘরে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে ভাতিজা সোহান অতর্কিত হামলা করে। মবারক মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ইউপি সদস্য মো: সেলিম আহমদ বলেন, ঘটনার দিন মবারক মিয়া বাড়িতে এসে দেখেন তার অংশে ভাতিজা সোহান ও তার পরিবারের সদস্যরা আসবাবপত্র রাখছেন। সরানোর কথা বললেই হামলা করা হয়।
সোহান একটি রাফ ছেলে। গত কয়েকদিন আগে সে জুগিডহর মারামারি করেছে। সে কিশোর গ্যাং এর সাথে সম্পৃক্ত। তানাহলে চাচাকে এভাবে মারতে পারেনা। এ ছেলেটা এলাকায় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।