রাজনগর সদর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা, জনদূর্ভোগ চরমে,ক্ষুদ্ধ ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ৫ নং রাজনগর সদর মুল বাজার, ইউনিয়ন রোড, ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ খারপাড়া ও আরো দুটি গ্রামের আংশিকাংশ ৫ নং ওয়ার্ডের মহাসহস্রের পশ্চিমাংশ, ৬নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলার পশ্চিমাংশ অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতাসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে যায় । এর কারন হিসেবে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, রাজনগর বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন রোড পূর্বস্থ হয়ে প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন হয়ে হাসপাতালের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত ‘ রাজার খাল’ দীর্ঘদিন যাবত পরিষ্কার ও খনন না করাকেই দ্বায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও বাজার ব্যাবসায়ীবৃন্দ। মুলত ঐ খালটি দিয়েই স্থানীয় সকল গ্রামের পানি প্রবাহিত হয়।
যথাযত খনন ব্যাবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও বাজার ব্যাবসায়ীগণ।
এ বিষয়ে রাজনগর সদর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান গত দু’দিন থেকে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মুলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও রাজনগর বাজার দিয়ে প্রবাহিত খালটি পরিষ্কার না করা ও খনন না হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। যেহেতু বর্ষা চলমান তাই প্রক্রিয়া একটু বিলম্ব হবে। তিনি আরো বলেন ৫নং সদর রাজনগর ইউনিয়নের জামাতের আমির হিসেবে আমি ইউনিয়নের ২,৩ এবং ৫ নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করে আমি দেখলাম পূর্ব ভুজবল, দাসটিলা, পূর্ব দত্তগ্রামের নিম্নাঞ্চলের অসংখ্য ঘর-বাড়িতে হাঁটু পানি কোমর পানি পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য মাছের খামার পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়েছে। এই জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে ভুজবলে অপরিকল্পিত একটি সাইফন স্থাপনাকে দ্বায়ী করছে এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানান ঐ সাইফনটি পানি যথাযর্থ না টানায় এই বন্যার সৃষ্টি।