রাজনগরে জলমহালের বাঁধ দিতে সরকারি রাস্তা কেটে নিলেন বিএনপি নেতা
রাজনগরে সরকারী রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে জলমহালে বাঁধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনটি গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা কেটে বিলের বাঁধ দেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়াও জলমহালের সাথে কয়েকশো একর জমির পানি আটকে মাছ চাষ করছেন বিএনপির স্থানীয় ওই প্রভাবশালীরা। সরকার পতনের আগে আওয়ামীলীগের নেতারা এটা ভোগ করলেও এখন এতে ভাগ বসিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এবিষয়ে স্থানীয় লোকজন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের হারিউন জলমহালের পাশে। অভিযোগ ওঠা বিএনপি নেতা হলেন ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. বশির মিয়া ও তার সহযোগিরা।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, কাউয়াদিগী হাওর পাড়ের কাশিমপুর ইসলামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো কৃষক হাওরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি হারিউন বিলের পাশ দিয়ে গিয়েছে। হারিউন বা বাডিডিগা নামে দুটি বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে লিজ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা মৎস্য উৎপাদন করছেন। ওই জলমহালে বাধ দিতে পার্শবর্তী সড়কের মাটি রাতের আধাঁরে কেটে নিচ্ছেন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো: বশর মিয়ার লোকজন। এদিকে ইসলামপুর ও সোনাপুর গ্রামের সরকারী রাস্তার মধ্য খানে অবস্থিত, হারিউন ও বাডিডিগা বিলের মোট ১৭ একর জমি লিজ নিয়ে বিশাল এলাকায় বাধ দিয়ে মাছের ঘের করে দখলে রেখেছেন কয়েকশ একর জমি। কৃষকরা নিজেদের জমি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালীদের দখলে থাকার কারনে নৌকা দিয়ে যাতায়াত, গরুর জন্য ঘাস ও মাছ ধরতে পারছেননা স্হানীয়রা। তদুপরি বাধের কারণে পানি বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ। একসময় আওয়ামীলীগ নেতাদের দখল থাকলেও এখন এটি হাতবদল হয়ে বিএনপি নেতাদের দখলে চলে গেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে মো. জসিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তার বেশ কিছু অংশ কেটে মাটি নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও নেতাদের হুমকি ধামকির ভয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না।
এব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. বশর মিয়া মাটি কাঁটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিছু মাটি হারিউন জলমহালের বাঁধে দেওয়া হয়েছে, যে রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করেন সেখানে চলাচলের জন্য কিছু বস্তা ভর্তি মাঠি দেওয়া হয়েছে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জুহরা জানান, চলাচলের রাস্তা কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এশিয়াবিডি২৪/গৌ/মো