আজ ফেলানী হত্যার ৯ বছর, বিচারের আশায় পরিবার
ফেলানী হত্যাকাণ্ডের নয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী।
ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজন করে তার পরিবার।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে চার ঘণ্টা। এ ঘটনা দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলে।
২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিজিবি আবেদন করলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আবারও অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিশেষ আদালত।
বিএসএফের বিশেষ আদালতে ন্যায়বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্ণা ভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। এখনো ন্যায়বিচারের আশায় আছে ফেনীর পরিবার।
নুরুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ আমার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। ভারত সরকার এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করলেও এখনো ন্যায়বিচার পাইনি। বিচার পাওয়ার আশায় দিন পার করছি।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ