মোবাইল ফোনের জন্য শিশু হত্যা
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের স্কুল ছাত্র ইসমাইল হোসেন রিদয় (১০) হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘাতক সাইমিন এক মোবাইলের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
বুধবার বিকেলে হত্যাকাণ্ডের হোতা স্কুলছাত্র শাহরিয়ার মারুফ সাইমিন (১৫) দ্বায় স্বীকার করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘাতকের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ পিপিএম, বিপিএম জানান, নিহত শিশুর পিতা সৌদি প্রবাসী ফারুক মিয়া ২২ হাজার টাকা দামের এক মোবাইল ফোন তার সন্তানকে দিলে সেই মোবাইলের উপর লোভ হয় ঘাতক সাইমিনের। মোবাইলটি আত্মসাৎ করতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকে সে। কোন উপায় না পেয়ে নাটকের ভিডিও তৈরির অযুহাতে ১০ জানুয়ারি বিকেলে রিদয়কে নিয়ে উপজেলার লস্করপুর চরহামুয়া খোয়াই নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে যায়। সেখানে শিশুটির হাতপা বেধে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে মোবাইলটি নিয়ে যায়।
১৩ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় লোকজন রিদয়ের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী, ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদসহ একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ওসি মো. মাসুক আলী, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আল-আমিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

