দাম বাড়ল পানির!
বিদ্যুতের সঙ্গে দাম বাড়ল পানিরও। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত। নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাপণ্য পানির জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর গ্রাহকদের এই বাড়তি টাকা গুণতে হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইদ-উর-রহমানের স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ২ টাকা ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। আর বাণিজ্যিক প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ২ টাকা ৯৬ পয়সা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৩৭ টাকা ৪ পয়সা।
একইভাবে চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ২ টাকা ৪৮ পয়সা বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪০ পয়সা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৯ টাকা ৯২ পয়সা। আর বাণিজ্যিক প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ২ টাকা ৭৪ পয়সা বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা।
নগরবাসীকে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিতে না পারার সমালোচনার মধ্যেই ঢাকা ওয়াসা আবারও পানির দাম বাড়াল। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ওয়াসার পানির বিলের বিশাল খক্ষ নগরবাসীর ওপর চেপে বসবে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, পাম্পগুলো চালানোর খরচের বড় একটা অংশই যায় বিদ্যুতের পেছনে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ায় পাম্প চালানোর খরচ সমন্বয়ে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে।
অন্যদিকে, বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়েছে। গড়ে বেড়েছে ৫.৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিইআরসি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাটি দেয়।
বিইআরসি জানিয়েছে, আগামী ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এর আগেও কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হয়। বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ইস্যুতে ওই গণশুনানি করে। শুনানিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। এর বিপরীতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি মন্তব্য করে—বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ