যেমন আছেন সিলেটে চিকিৎসাধিন সেই যুবক

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে’ চিকিৎসাধিন কানাইঘাটের সেই যুবক এখন আগের চাইতে একটু ভালো। আগের মতো এতো ঘন ঘন কাশছেন না বলে জানালেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।

আজ শনিবার ( ৭ মার্চ) বিকেলে সিভিল সার্জন বলেন, কানাইঘাটের ওই যুবকের অবস্থা আগের চাইতে একটু ভালো। সে এখন ঘন ঘন কাশছে না এবং জ্বরের মাত্রাও একটু কম। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তার রক্ত সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার রিপোর্ট আসবে, তখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না।

উল্লেখ্য, কানাইঘাট উপজেলার সুতারগ্রামের হাফিজ আলী হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী জাকারিয়া (৩২) ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে’ গত বুধবার থেকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন। জাকারিয়া দুবাইয়ের একটি আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। সেই হোটেলের সবচেয়ে বেশি কাস্টমার ছিল চীনের নাগরিক। দুবাই থাকাকালীন জাকারিয়ার শরীরে জ্বর উঠে। সেখানে চিকিৎসাও করান। অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তিনি দুবাই থেকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পরও তার শরীরের জ্বর ও কাশি কমেনি। তাই শরণাপন্ন হন সিলেটের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি।

পরে গত বুধবার তিনি এসব উপসর্গ নিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ডাক্তাররা তখন সমস্যাগুলো শুনেন। যেগুলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ থাকে এর সাথে দুবাই প্রবাসি এই যুবকের রয়েছে। তখন চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় যেতে বলেন। কিন্তু সে ঢাকায় যেতে না চাওয়ায় তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার তার রক্ত সংগ্রহ করেছে আইসিসিডিআর’র টিম। ওইদিনই রক্ত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। আর এই রিপোর্ট আসবে আগামীকাল রবিবার। তারপর জানা যাবে জাকারিয়া আসলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ