বাংলাদেশে বেড়ে যাচ্ছে মাস্কের দাম!

বাংলাদেশে তিন জন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি এতটাই বেড়েছে যে অনেক স্থানে সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম অনেক বেশি।

রবিবার ৮ মার্চ সন্ধ্যায় কথা হয় শুক্রাবাদের বাসিন্দা সাবিনা জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি, সে জন্যই মাস্ক কেনা। কয়েকদিন আগে যে মাস্ক কিনেছি ২০ টাকা দিয়ে সেটাই এখন কিনলাম ১০০ টাকা দিয়ে। তাও তো এখানে ১০০ টাকায় পেলাম, মিরপুর রোডে এই মাস্কই দেখে এলাম ১৫০ টাকা।’

গুলশানের বাসিন্দা উম্মুল খায়ের নীতু জানান, তিনি বনানী আর শ্যামলীতে সব দোকান খুঁজেও হ্যাক্সিসল পাননি। অবশেষে গুলশান ২ নম্বরের এক ফার্মেসি থেকে হ্যাক্সিসল কিনেছেন। কিন্তু সেই দোকান থেকে মাস্ক ইতোমধ্যে স্টক-আউট হয়ে গেছে বলে জানান নীতু।

এদিক গণমাধ্যমকর্মী মাকসুদ উন নবী বলেন, মগবাজারের মধুবাগের পাঁচটি ওষুধের দোকান ঘুরে তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাননি। মার্কেট আউট বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা। মাকসুদ বলেন, এসব দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর মাস্কের জন্য যে পরিমাণ ভিড় দেখেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে মানুষ আতঙ্কিত। আরেক গণমাধ্যমকর্মী রাজীব আহমেদ বলেন, স্যানিটাইজার নামের হাত ধোয়ার যে জিনিসটি এতদিন বিক্রি হয়নি, তা এক বিকেলে মার্কেট আউট হয়ে গেছে। পাঁচ টাকার ফেস মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কোভিড-১৯ আতঙ্কে মাস্ক কিনছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, করোনা আতঙ্ক থেকেই মাস্ক কিনে নিলাম। বাসার সবার জন্য মাস্ক কিনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজ যা পাওয়া যাচ্ছে কাল থেকে হয়তো সেটাও পাওয়া যাবে না। তাই দাম বেশি হলেও সবার জন্য মাস্ক কিনে নিলেন।

গত এক মাস ধরে ঢাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মাস্ক, ক্যাপ বিক্রি করেন মো. লিটন মিয়া। লিটন মিয়ার সঙ্গে কথা হয় পান্থপথে। কথা বলে জানা গেল, বিকাল থেকে হঠাৎ মাস্ক বিক্রি বেড়ে গেছে। তার কাছে ২০, ৪০ এবং ১০০ টাকার বিভিন্ন মাস্ক রয়েছে।বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, আর মানুষ কোনও কথা না বলেই সেগুলো কিনে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সূত্র বাংলা ট্রিভিউন

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান

আরও সংবাদ