জুড়ীতে মাস্ক নেই!
সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম হলেও বাংলাদেশে তার চেয়ে বেশি মহামারী আকার ধারণ করেছে মাস্ক!
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা হয়।
দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মাস্ক সরবরাহ কমিয়ে ও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যায়েও।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাতেও চলছে মাস্ক সংকট। একদিকে সরবরাহ কম অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধি।
দেশে এখনও করোনা ভাইরাস নেই। প্রবাস ফেরৎ তিনজন রোগী আছেন। ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাস্ক ব্যবহৃত হয়।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাস্ক আমদানী কারক ও উৎপাদনকারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাস্ক মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক সরবরাহও কমিয়ে দিয়েছেন। এমন অভিযোগ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা শহরের ব্যবসায়ীদের। মঙ্গলবার শহরের সকল ফার্র্মেসী ও কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায় কোথাও মাস্ক নেই। আলী ফার্মেসীর মালিক মাহবুবুর রহমান জানান, ঢাকার কয়েক সেল্সম্যান জুড়ীতে মাস্ক সরবরাহ করত।
আমরা ৫০পিছের এক প্যাকেট করে রাখতাম। কেননা বিক্রি কম হত। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে ওরা আর মাল নিয়ে আসছে না। জালালাবাদ ফার্মেসীর সমীর উদ্দিন অভিযোগ করেন, মাস্ক মুলত চীন থেকে আমদানী হয়।
ঢাকার আমদানী কারকগণ মাস্ক মজুদ করে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া দেশীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের উৎপাদিত মাস্ক একই ভাবে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে।
কাপড় ব্যবসায়ী আমাদের ফ্যাশনের মালিক তারেক আহমেদ বলেন, ঢাকা থেকে এক ডজন মাস্ক এনেছিলাম ৪৫০টাকা দরে। সে মাস্ক এখন ঢাকায় পাইকারী আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। তাও মাল পাওয়া যাচ্ছেনা।
জুড়ীর সর্ববৃহৎ পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী চৌধুরী ক্লথ স্টোরের ছবির আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশে কাপড়ের তৈরি সাধারণ মানের মাস্ক আমরা যেটা পাইকারী ৯টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেটা ঢাকায় সীমিত আকারে ৭০/৮০টাকা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ভালমানের মাস্ক ১৫০/২০০টাকা। কিন্তু সরবরাহ নেই বললেই চলে
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

