অকথ্য ভাষায় কথোপকথন; সুলতানের অডিও ভাইরাল

সুলতান মুহাম্মদ মনসুর। তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি। একসময়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। সুনাম সিলেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে। এই জনপ্রতিনিধির হাত ধরেই সিলেটসহ সারাদেশ তৈরি হয়েছে হাজারো নেতা-কর্মী। সুখ্যাতি ছিলো ত্যাগী এব স্বজ্জন নেতা হিসেবেও। সেই জনপ্রতিনিধির একজন ভোটার এলাকা থেকে খোঁজ করলেন নেতার। তিনি একজন সংসদ সদস্য। ভোটার এবং জনপ্রতিনিধির কতোপকথন থেকে যা শোনা গেলো-তাতেই আক্কেলগুরুম। ভাষা নেই কিছু বলার। বাকরুদ্ধ হওয়া মতো সেই কতোপকথন তুলে ধরা হলো পাঠকদের স্বার্থে।
(একজন জনপ্রতিনিধির কল রেকর্ড থেকে নেওয়া, (তিনি কে জানতে চাইয়া লজ্জা দেবেন না, তবে একটু মাথা খাটালেই বুঝে যাবেন আশা করি।)
নির্বাচনী কর্মী : ভাই এলাকায় আসবেন কি না?
জনৈক জনপ্রতিনিধি : এসে কি করবো? তোমার বোন বিয়ে করবো, নাকি আমার বোন বিয়ে দিবো?
নির্বাচনী কর্মী : না, সেরকম কিছু না। আমাদের কিছু অনুদান দিতেন, আমরা বড় বিপদে পড়ছি। কাজ নাই, ঘরে খাবার নাই।
জনৈক জনপ্রতিনিধি : আমি কি মক্কা থেকে খাবার এনে দিবো? আমার পকেট থেকে দিবো? মেম্বার, চেয়াম্যানরে বলো।
নির্বাচনী কর্মী : না মানে, উনারা তো যতটুকু পারছেন সহযোগীতা করছেন, আপনি আসলে আমাদের জন্য আরও উপকার হতো।
জনৈক জনপ্রতিনিধি : মেম্বার, চেয়ারম্যান কি তাদের বাপের অনুদান দিচ্ছে? কি আবুল তাবুল বকছো? এই সময় ঘরে থাকাই কাজ, ঘরে থাকো।
নির্বাচনী কর্মী : ঘরে তো থাকছি। কিন্তু খাবার জুটছে না। এভাবে চললে, না খেয়ে মরতে হবে। আপনি এলাকায় এসে আমাদের জন্য কিছু করেন।
জনৈক জনপ্রতিনিধি : ঘরে থেকে না খেয়ে মরবে কেন? গলায় দড়ি দিয়া হাওরের পানিতে গিয়া মরো। যত্তসব, শেখ হাসিনা, এমপি কি ঘরে খাবার নিয়ে যাবে নাকি? ফোন রাখো, ফোন রাখো।
নির্বাচনী কর্মী : হ্যা, হ্যা, হ্যা শেখ হাসিনা আমরা বানাইছি, এমপি আমরা বানাইছি, চেয়ারম্যান, মেম্বার আমরা বানাইছি। আমাদের খেয়াল করার জন্য। আমাদের জনগনের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য।
এমন সময় ফোন কলটি কেটে গেলো।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সুনতান মনসুর এমপি বলেন, ‘ আমি এসবের কিছুই জানিনা’।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ
