কবে আসবে করোনার টিকা, কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
চীন থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে দেশে দেশে বিষাক্ত ছোবল বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। মহামারিতে রূপ নেওয়া এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছে ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোও। বর্তমানে এসব দেশগুলোতে মৃত্যুর হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
করোনার এই মহামারি ঠেকাতে ইতোমধ্যেই অনেক দেশ টিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অনেক দেশ সফল পরীক্ষার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চীন ইতোমধ্যেই তিনটি টিকা মানব দেহে পুশের অনুমতি দিয়েছে। এর একটি টিকা পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
তবে কী খুব শিগগিরই পাওয়া যাচ্ছে করোনা প্রতিরোধী টিকা? এমন প্রশ্ন বিশ্বের প্রায় দেশের। তবে এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, টিকা এখনই নয়, এটি পেতে সময় লাগবে এক বছর বা তার বেশি।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইতালি ও স্পেনসহ ইউরোপের কয়েকটি জায়গায় কোভিড-১৯ এর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও ব্রিটেন এবং তুরস্কে এখনও এর প্রকোপ বাড়ছে।
অন্যদিকে জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, এটি গোটা বিশ্বে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে ৯০ শতাংশ আক্রান্তের খবর আসছে। সুতরাং আমরা অবশ্যই এর এখনো শিকড় দেখতে পাচ্ছি না।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে হ্যারিস বলেন, সত্যিকার অর্থে ১২ মাস বা তার বেশি সময় ছাড়া ভ্যাকসিন দেখার আশা করা উচিত না। এ সময় সদস্য দেশগুলোকে কোনো এলাকা লকডাউনের আওতায় আনার আগে ছয়টি পদক্ষেপ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আপনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ। তিনি এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি দেশটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বড় দাতা বলেও জানিয়েছেন হ্যারিস।
এ দিকে, সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ভয়েচ কনফারেন্সে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এই সংস্থাটিকে প্রতিনিয়ত অনুদান চালিয়ে যাবে। তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ