জুড়ীতে ফার্মের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি চায় তারা!

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৩ নং পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম আমতৈল গ্রামে অবৈধভাবে স্থাপিত পরিবেশ নষ্টকারী পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।

আজ বুধবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার আমতৈল এলাকাবাসী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাধা কান্ত দাশ বলেন, গ্রামে দীনবন্ধু সেন প্রায় তিন বছর পূর্বে সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে ‘বন্ধু পোল্ট্রি ফার্ম’ নামে লেয়ার মুরগির ফার্ম চালু করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া অবৈধ ভাবে প্রতিষ্ঠিত এই ফার্ম থেকে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিবেশীরা বাড়ী ঘরে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমরা ফার্ম বন্ধের দাবি জানালে তিনি বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানীর চেষ্টা করেন। গত ১ মে রাতে দীনবন্ধু সেন অভিনব পায়তারা করে তার সহযোগীদের নিয়ে ফার্মের বেড়া-নেট ভাঙচুর করে হাল্লা চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। রাত দশটায় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ধান কাটার মেশিন দেখতে সেখানে গেলে স্থানীয়রা দীনবন্ধু সেনের ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরলে তিনি সকলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জুল আলীর বাড়ীতে চা খেতে গেলে দীনবন্ধুর ভাড়াটিয়া মাস্তানরা ওই বাড়ী ঘেরাও করে তোফাজ্জুল আলীর পুত্র বদরুল ইসলামকে মারপিঠ করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার ভাই নুরুল ইসলামের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বাধা দিতে গেলে নুরুলের মাকেও মারপিঠ করে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়।

তিনি জানান, এ ঘটনায় দীনবন্ধু সেন উল্টো উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজনের নামে মিথ্যা মামলা করেন। মামলায় ফার্মের প্রতিবেশী আমরা ভুক্তভোগীদের আসামী করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ পরিবেশ বিনষ্টকারী অবৈধ পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের জোর দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আহমদ আলী বলেন, খামার মালিক দীনবন্ধুর পুত্র একজন মাদকসেবী। সে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে অনেকবার ধরা পড়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আজ মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছি।

রুবি রানী দাশ বলেন, খামারের দুুর্গন্ধে বাড়ীতে কোন পুজা করতে পারিনা, বাচ্চাদের ঘরে বন্দি করে রাখতে হয়। বিভিন্ন সময় খামারের পিছে ফেলে দেয়া মরা মোরগের গন্ধে এলাকায় ঠিকতে পারিনা।

কলেজ ছাত্রী রীমা রানী দাশ বলেন, আমরা করোনাভাইরাস থেকে নয়, ফার্মের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তিচাই। সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য সুন্দর পরিবেশ চাই।

সুলতানা বেগম বলেন, আমরা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয় বা খামারের বিরুদ্ধে নয়। আমরা খামারের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। সেহরি ইফতার করতে পারিনা। সব সময় অসুুস্থতা লেগে থাকে।

উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, খামারের ময়লা পাইপ দিয়ে নদীতে ফেলা হয়। এতে নদীর পানি ও পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/মারুফ

আরও সংবাদ